অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটকের পর ভারতের একটি শিশু শোধনাগারে মাসের পর মাস কাটিয়ে অবশেষে দেশে ফিরেছে ১৫ জন বাংলাদেশি কিশোর। বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা দেশে ফেরে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে এই ১৫ জন কিশোর আটক হয়েছিল। এরপর তাদের শিশু শোধনাগারে পাঠানো হয়। দীর্ঘ কারাভোগ শেষে আজ দুপুরে দিনাজপুরের হিলি চেকপোস্ট এলাকা দিয়ে এই কিশোরেরা দেশে ফেরে। দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব হোসেনের কাছে তাদের ভারতের অভিবাসন পুলিশের ওসি বিকাশ রঞ্জন মণ্ডল হস্তান্তর করেন।
দেশে ফেরত আসা শিশু-কিশোরেরা হলো দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার জীবন রায় (১৬), মুন্না মিয়া (১৭), প্রদীপ রায় (১৬), সুমন রায় (১৬), বোচাগঞ্জ থানার কাইলাশ (১৫), সবুজ আলী (১৭), সনজিৎ রায় (১৭), ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার কমল চন্দ্র (১৭), একই এলাকার কমল জালী (১৫), কৃষ্ণ চন্দ্র রায় (১৬), রতন চন্দ্র রায় (১৭), সুজন রায় (১৭), উপল চন্দ্র (১৭), কেশব চন্দ্র রায় (১৭) ও হরিপুর থানার লিটন (১৭)।
ভারতের উত্তর দিনাজপুরের জেসিএল শিশু শোধনাগারের সদস্য মধুসূদন সরকার সাংবাদিকদের জানান, এই শিশু-কিশোরেরা তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছিল। পরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশ তাদের আটক করে আদালতের মাধ্যমে শিশু শোধনাগারে পাঠায়।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি মো. আফতাব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এই শিশু-কিশোরেরা কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিল। সেখানে তারা ১৬ থেকে ২২ মাস পর্যন্ত আটক ছিল। পরে দুই দেশের মধ্যে চিঠি চালাচালির মাধ্যমে কলকাতার বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের মুক্তির ব্যবস্থা করে।
বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের হস্তান্তরের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিবির হিলি আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার আবু নাছের, ভারতের হিলি বিএসএফের পোস্ট কমান্ডার অজিত কুমার দে, বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির গোবিন্দগঞ্জ শাখার শরিফা সুলতানা প্রমুখ।