চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৩৯ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অল আউট। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির পর বল হাতেও দারুণ ম্যাজিক মিরাজের। নিয়েছেন চারটি উইকেট। তিনটি করে উইকেট নেন তাইজুল, নাঈম ও মোস্তাফিজ।
প্রথম দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৭৫ রান। শুক্রবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে সেশনের প্রথম বলেই উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাইজুলের বলে বনার ক্যাচ দেন ম্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ওই ওভারেই আউট হতে পারতেন মেয়ার্স। কিন্তু উইকেটের পেছনে ক্যাচ নিতে পারেননি লিটন। তার কাছ থেকে ফসকে আসা বল প্রথম স্লিপে লুফে নিতে পারেননি শান্তও। এরপর বাংলাদেশের বাজে বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে অভিষিক্ত মেয়ার্স খেলতে থাকেন একের পর এক শট। রানের চাকাও ঘুরতে থাকে দ্রুত। ৪৯ রানে দিন শুরু করা অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েটও এগোতে থাকেন স্বচ্ছন্দে।
শেষ পর্যন্ত এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন স্পিনার নাঈম হাসান। অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে পিচ করা বল তীক্ষèভাবে অনেকটা টার্ন করে ঢোকে ভেতরে। বাইরে দিয়ে যাবে ভেবে বল ছেড়ে দেন ব্র্যাথওয়েট। স্টাম্প ছত্রখান। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক থামেন ১২ চারে ১১১ বলে ৭৬ রান করে। দলীয় ১৫৪ রানের মাথায় মায়ার্সকে ফেরান মিরাজ। ৬৫ বলে ৪০ রানে মেয়ার্স এলবিডব্লিউর শিকার। মিডল অর্ডারে ব্লাকউড ও জশুয়া সিলভা বেশ ভুগিয়েছেন বাংলাদেশের বোলারদের। এই জুটি দলকে নিয়ে যান দুশোর উপর। রান আসে এই জুটিতে ৯৯। শেষ অবধি এই জুটি বিচ্ছিন্ন করে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন নাঈম।
দলীয় ২৫৩ রানে জশুয়া সিলভাকে উইকেটের পেছনে লিটনের ক্যাচ বানান নাঈম। ভাঙে ক্যারিবীয়দের প্রতিরোধ। ১৪১ বলে ৪২ রান করেন জশুয়া। পরের ওভারেই চমক দেখান মিরাজ। ফেরান সবচেয়ে ভয়ংকর ফিফটি করা ব্লাকউড। মিরাজের বলে তিনিও ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ১৪৬ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন ব্লাকউড। একই ওভারের চতুর্থ বলে মিরাজ আউট করেন রানের খাতা না খুলতে পারা পেসার কেমার রোচকে। এক ওভার পরে আবার বল ঘুড়িয়ে মিরাজ এবার বিদায় করেন রাকিম কর্ণওয়ালকে। ৬ বলে দুই রান করা কর্নওয়াল সরাসরি বোল্ড। পরের ওভারে তাইজুল বোল্ড করেন ক্যারিবীয় স্পিনার ওয়ারিক্যানকে (৪)। শেষ হয় ক্যারিবীয়দের ইনিংস। ৬ রানের ব্যবধানে ক্যারিবীয়রা হারায় শেষের পাচ উইকেট। এর কৃতিত্ব বাংলাদেশের তিন স্পিনাররকেই দিতে হয়।