শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন

সৌদি আরবের পরেই বড় শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও বিএমইটি সূত্রে জানা যায়, সৌদি আরবের পরেই দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে ২০১২ সালের পর বাংলাদেশের শ্রম ভিসা বন্ধ করে দেয় আরব আমিরাত। ‘খুলবে-খুলছে-খোলা হচ্ছে’ এভাবেই ৮টি বছর পার হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ থাকা এই শ্রমবাজারে সম্প্রতি অননুমোদিত তথা ভিজিট ভিসায় কর্মী পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সর্বশেষ গত ৩ ফেব্রুয়ারি মেসার্স ব্রিটেইন ট্রেড সিস্টেম (আরএল ৩৮৯) নামের একটি রিক্রুটিং এজেন্সিকে ৫০০ জন কর্মী নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। আরব আমিরাতের মোহাম্মদ আব্দুল মহসিন আল-খারাফি অ্যান্ড সন্স এলএলসি নামের কোম্পানির অধীন ট্যাক্সি চালক পদে (পুরুষ) ২০০ জন, জেনারেল লেবার হিসেবে ১০০ জন এবং টাউয়াসুল ট্রান্সপোর্ট এলএলসি নামে কোম্পানির অধীন ট্যাক্সিচালক পদে ২০০ জন কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি সরকার ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ১৭১৫) নামে রিক্রুটিং এজেন্সিকে দুবাইর বিভার গাল্প কোম্পানিতে কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার হিসেবে এক হাজার, গত ১৭ জানুয়ারি আল সৌরভ ওভারসিজ (আরএল ১০২৮) নামের রিক্রুটিং এজেন্সিকে সেনসেবল স্টার ক্লিনিং সার্ভিস এলএলসি কোম্পানির অধীন ক্লিনার পদে ২০০ জনের এবং তারও আগে সাদিয়া ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ৪৯২) নামের রিক্রুটিং এজেন্সিকে ক্লিনার পদে ২০০ জন কর্মী নিয়োগের অনুমতি দেয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ। দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশের অন্যতম বড় এই শ্রমবাজারে ওয়ার্কিং বা শ্রম ভিসায় কোনো কর্মী যাচ্ছে না। খুলবে খুলবে বলেও খুলছে না এই বাজারটি। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে দেশটিতে বড় পরিসরে শ্রমিক যাওয়া শুরু হয়েছে। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক মো: শামসুল আলম বলেন, ২০১২ সাল থেকে ওয়ার্ক ভিসায় দেশটি কাউকে নেয়নি। সম্প্রতি ওই দেশ ভিজিটরদের অ্যালাউ করেছে। ভিজিট ভিসায় দেশটি যাওয়ার পরে ওয়ার্ক ভিসায় পরিবর্তনের সুযোগ আছে। একটু ঘুরিয়ে যাওয়ার যেহেতু সুযোগ হয়েছে, আশপাশের দেশগুলো থেকেও এভাবে লোক যাচ্ছে। এই সুযোগটা তো আমাদেরও হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। আরব আমিরাতের বাংলাদেশ মিশনের অ্যাটাচটেডের পর প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিচ্ছে। এরপর আমরা ক্লিয়ারেন্স দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি। তবে শ্রমবাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অননুমোদিতভাবে আরব আমিরাতে লোক পাঠানো ঠিক হচ্ছে না। যারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই কাজ পাবেন না। নানা ঝামেলায় পড়তে হবে। এমনকি বাজারটি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।
বায়রার সদ্য সাবেক মহাসচিব ও সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান ২০০ জন কর্মীর নিয়োগ অনুমতির কথা স্বীকার করে গত শনিবার বিকেলে বলেন, আরব আমিরাতের শ্রমবাজারটি এখনো খোলেনি। এটা ইনডাইরেক্টলি ওপেন। ইমপ্লয়মেন্ট ভিসা আমরা পাচ্ছি না। আন অফিসিয়ালি ভিজিট ভিসাকে ট্রান্সফার (ওয়ার্ক ভিসা) করার সুযোগ রয়েছে ওখানে। কোম্পানিতে যাদের লোক লাগবে তারা ডিমান্ড দিচ্ছে। অনেক লোক যাচ্ছে। ভিজিট ভিসায় যারা যাচ্ছেন তাদের কোনো সমস্যায় পড়তে হবে কি না জানতে চাইলে এই জনশক্তি ব্যবসায়ী বলেন, ভিসা ট্রান্সফার করে নিচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি যেটা করি বা অন্যদেরও করা উচিত সেটা হলো- ডিমান্ডটা অ্যাম্বাসির মাধ্যমে অ্যাটাচটেড করে নেয়া। আন্ডারটেকেন দিয়ে, কাগজপত্র যা যা চায় সব দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ডিমান্ড অনুমোদন দেয়। ওই ডিমান্ডের বিপরীতে তারা (নিয়োগকর্তা) লিখিত দেয় যে, যেসব লোক আসবে কোম্পানির দায়িত্বে ট্রান্সফার (ওয়ার্ক ভিসা) করে নেবে। সে ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা কোম্পানির ওপরে থাকে, আমাদের ওপরে থাকে না। এভাবে হলে কোনো সমস্যা হলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে দায়ী বা সমাধান করা যাবে। এ ক্ষেত্রে যদি লোকের চাকরি না হয় তাহলে দায় ওই কোম্পানির।
বায়রার সাবেক এই মহাসচিব বলেন, এই সুযোগে কিছু লোকজন, যাদের রিক্রুটিং লাইসেন্স নাই-ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো ভিজিট ভিসা তৈরি করে লোক পাঠাচ্ছে। যারা যাচ্ছে আমাদের প্রবাসীরা চাকরি দিচ্ছে। তবে এটা রিস্কি হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশনকে ভূমিকা রাখা জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারা কর্মী ভিসায় যাচ্ছে আর কারা ভিজিটে এটা বুঝা যায়। আইনগতভাবে যদিও কিছু করার থাকে না। তবুও দেশের স্বার্থে বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্টদের এটা করতে হবে। নাহলে লোকগুলো তো গিয়ে বিপদে পড়বে। যারা যাচ্ছে তাদের এমপ্লয়মেন্ট (নিয়োগকর্তা) থেকে অফার লেটার নিয়ে এসে অ্যাম্বাসি থেকে অ্যাটাচটেড করে আনার কথা বলতে হবে, এটা নিশ্চিত করা উচিত।
ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরীফুল হাসান বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে আরব আমিরাতের শ্রমবাজারটি চালু হয়নি। আমরা দেখছি যে, গত বছর (শেষ দিক) প্রচুর লোক ট্যুরিস্ট ভিসায় আরব আমিরাতে যাচ্ছে। ট্যুরিস্ট ভিসায় গিয়ে তো আর কাজ করা যায় না। এর ফলে আমাদের যে স্বাভাবিক শ্রমবাজার সেটাও নষ্ট হবে; আবার এই লোকগুলো পরে আনডকুমেন্টেড হয়ে পড়বে। প্রতিদিনই যেসব ফ্লাইট যাচ্ছে তা ট্যুরিস্ট যাত্রীতে ভরে যাচ্ছে। আমার কাছে মনে হয় এই বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া উচিত। আসলেই যদি শ্রমবাজারের চাহিদা থেকে থাকে তাহলে সেটা স্বাভাবিকভাবে সমস্ত প্রক্রিয়া মেনে তারপর পাঠানো উচিত। অন্যথায় ভবিষ্যতে বাজারটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি বলেন, যারা ট্যুরিস্ট ভিসায় যাচ্ছে তারা তো সরকারের রেজিস্টারে আসছে না। ফলে এরা যদি মারা যায় বা কোনো বিপদে পড়ে তখন কিন্তু ক্ষতিপূরণ-কোনো কিছুই পাবে না। তারা আনডকুমেন্টেড থেকে যাবে। সুতরাং নিজেদের বা শ্রমবাজারের স্বার্থেই এসব করা উচিত নয় বলে মনে করি।
শ্রমবাজার ও প্রবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা রামরুর চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, আমাদের অবস্থাটা এ রকম, যেসব দেশ লোক নিচ্ছে তারা বিভিন্ন ধরনের এই রকম অন্যায়গুলো করছে। ভিজিট ভিসা দিয়ে নিয়ে বলছে আমরা কাজ দেবো। এই যে জিনিসটা, এটা ওই দেশের এমপ্লয়াররা এক ধরনের অন্যায় করছে। এটা করতে পারে না। তাকে তো সরকারের কাছ থেকে প্রসেস করেই নিতে হবে। আমাদের দেশ থেকে এটাকে ডিসকারেজড (নিরুৎসাহিত) করা দরকার। কারণ ওখানে গিয়ে হয়তো বা ২০ ভাগ চাকরি পাবে, বাকি ৮০ ভাগই কোনো না কোনো ঝামেলায় পড়বে। সেই জায়গা থেকে আমাদের এটা নিরুৎসাহিত করা দরকার। সম্প্রতি ভিয়েতনামে আমাদের অভিজ্ঞতা যেটা হয়েছে, এইভাবে পাঠিয়ে অনেকের চাকরি হয়নি। সুতরাং আমাদের ভাবতে হবে। আরেকটা হচ্ছে, যারা ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছে তাদের ধরবে কে, এদের দ্রুত ধরা উচিত। ট্র্যাভেল এজেন্সি যাদের পাঠাবে তারা কখনই চাকরি পাবে না। এরাই কিন্তু পুরো মার্কেটটা খারাপ করে দেবে। এই ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোর অনেকেই কিন্তু রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে যুক্ত। যারা পাঠাচ্ছে ট্র্যাভেল এজেন্সি, তাদের রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে যোগাযোগ আছে কি না, সরকারকে তা খতিয়ে দেখা দরকার।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক ফখরুল আলম বলেন, যারা ভিজিট ভিসায় যাচ্ছে তাদের দেখার দায়িত্ব আমাদের মধ্যে পড়ে না। ওটা ইমিগ্রেশন পুলিশ দেখে। আরব আমিরাতে কিছু যাচ্ছে ভিজিট ভিসায়, কিন্তু তাদের নিয়োগপত্র রয়েছে, বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। ওখানে গিয়ে ওয়ার্কিং ভিসা নেবে। এ রকম যারা আছেন, তাদেরটা নিশ্চিত হয়ে, তারা যে কোম্পানিতে কাজ নেবে সেটা নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা ছেড়ে দিচ্ছি। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে তাদের স্মার্টকার্ডও দেয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে পুরুষ কর্মীর পাশাপাশি কিছু মহিলা কর্মীও গেছেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অ্যাডিশনাল এসপি (ইমিগ্রেশন) জাকারিয়া বলেন, আরব আমিরাতে কারো আপন ভাই আছে, কারো বাবা আছে বা নিকটাত্মীয় কেউ আছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। তারা ভিজিট ভিসাতেই যাচ্ছে, ওখানে গিয়ে হয়তো কাজের ভিসা নিচ্ছে। তবে কী পরিমাণ লোক আরব আমিরাতে যাচ্ছে তা তিনি তাৎক্ষণিক বলতে পারেননি।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিচালক (বহির্গমন) মো: রেজাউল করিম বলেন, আরব আমিরাতে ওয়ার্কিং ভিসা বন্ধ রয়েছে। কয়েকটি কোম্পানি ওয়ার্ক অর্ডার নিয়ে এসেছে। এগুলো প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বিএমইটি অনুমোদন দিয়েছে। যেহেতু ওয়ার্কিং ভিসা বন্ধ তাই তারা ভিজিট ভিসায় যাচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে আমিরাতে যে বাংলাদেশ মিশন রয়েছে তারা অবগত, সে দেশের সরকারও অবগত। ওখানে গিয়ে তারা ওয়ার্কিং ভিসা নিচ্ছেন। আরব আমিরাত সরকারও ওয়াকিফহাল, ভিজিট ভিসায় নেয়ার পরে ওয়ার্কপারমিট দিয়ে দিচ্ছে। যারা গেছে এখন পর্যন্ত ভালো আছে। কেউ সমস্যায় পড়েছে বলে জানা নেই। এই সুযোগে ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো ভিজিট ভিসায় শ্রমিক পাঠাচ্ছে- এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, এটা আমার জানা নেই। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ও এ ব্যাপারে অবগত কি না তাও জানা নাই। এ ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনকে গতকাল বিকেলে ফোন দেয়া হলে তিনি বলেন, ছুটির দিনেও সকাল থেকে অফিসই করতেছি। এখন আর কথা বলতে চাই না। অফিসের কাজ নিয়েই আছি কাল (রোববার) ফোন দিয়েন। প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদকে ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক মো: শামসুল আলম বলেন, এটি নিয়ে সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিং হয়।
মিটিংয়ে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের পক্ষে জোরালো অবস্থান ছিল যে লোক আসা উচিত। এখন সিদ্ধান্তটা এমন হয়েছে যে, ওখানকার ভালো ভালো কোম্পানি যখন কর্মীর রিকুইজেশন দেবে, গ্রুপ ভিসাগুলো আমাদের মিশন অ্যাটাচটেড করে দেবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আমাদের মিশন অ্যাটাচটেড করে দেয়ার পরে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিয়োগ অনুমতি দেবে। তারপর আমরা বিএমইটি তাদের ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স দেবো- গ্রুপ ভিসার ক্ষেত্রে, কোম্পানির ক্ষেত্রে। তবে মিশন হতে অ্যাটাচটেড থাকতে হবে। ভিজিট ভিসা হলেও আমরা এটিকে ওয়ার্ক ভিসা মনে করে পাঠিয়ে দেবো, এ রকমই সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর যেগুলো ইন্ডিভিজুয়াল ভিজিটর, এটা আইন পারমিট করে না মোটেই। বিএমইটি থেকে এটার একটাও ক্লিয়ারেন্স দেইনি। দেয়ার সুযোগ নাই। ভিজিটর যেভাবে যায়। যতটুকু শুনি ভিজিটর হিসেবে এয়ারপোর্ট দিয়ে সেভাবেই যাচ্ছে। এই সুযোগে বাজারটি নষ্ট হয়ে যাবে কি না- জানতে চাইলে বিএমইটির ডিজি বলেন, আমাদের নিয়ম অনুযায়ী ভিজিট ভিসায় ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স দিতে পারি না। তবে ওখানকার মিশন যেগুলো ভালো বলছে, অ্যাটাচটেড করে দিচ্ছে এতে বিরূপ অবস্থায় পড়ার কোনো আশঙ্কা আছে বলে মনে হয় না। আর যারা ইন্ডিভিজুয়ালি ট্যুরিস্ট হিসেবে যাচ্ছে সেটা ইমিগ্রেশন পুলিশ দেখছে। ওই দেশে যারা নিচ্ছে, ওই দেশের সরকার নিয়ম মোতাবেকই যেতে দেবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com