শরীয়তপুর জেলায় করোনা ভাইরাসে ৫জন আক্রান্ত হয়ে একজন মৃত্যুবরন করেছে। এ ছাড়া ৪৪৪ জন হোম কোরেন্টাইনে আছে। প্রতিদিন নারায়নগঞ্জসহ অন্যান্য জেলা থেকে লোকজন এসে এ জেলাকে করোনা সংক্রমন ঝুকিতে ফেলেছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঝুকিঁ ও বিস্তার প্রতিরোধে শরীয়তপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ককরোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরী সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের এর সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান, সিভিল সার্জস ডাঃ এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ,সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, এনএসআই যুগ্নপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। লকডাউন চলাকালীন সময় জাতীয় ও আঞ্চলিক সড়ক/মহাসড়ক ও নৌপথে বা অন্যকোন জেলা থেকে কেউ এ জেলায় প্রবেশ করতে কিংবা এ জেলা থেকে অন্যকোন জেলায় গমন করতে পারবেনা।

জেলার অভ্যন্তরে আন্তঃউপজেলা যাতায়তের ক্ষেত্রে এ রুপ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। সকল ধরনের গনপরিবহন জনচলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরী পরিসেবা, চিকিৎসাসেবা, কৃষিপণ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সরঞ্জাম সংগ্রহ ও পরিবহন ইত্যাদি আওতাবর্হিভ’ত থাকবে। জাতীয় আঞ্চলিক মহাসড়ক যোগে শরীয়তপুর জেলার উপর দিয়ে অন্যান্য জেলার আন্তঃযোগাযোগ আওতাবর্হিভ’ত থাকবে। জেলা ও উপজেলার যেকোন সীমানা দিয়ে এ জেলায় যানবাহন প্রবেশ ও জেলা হতে প্রস্থান বন্ধ থাকবে। জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ খবর জানিয়ে দিয়েছে।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, প্রতিদিন এ জেলায় নারায়নগঞ্জ থেকে শত শত লোক এস জেলাকে করোনা ঝুকিতে ফেলে দিয়েছে। এ জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনা ভাইরাসে লোকজন সংক্রমিত হচ্ছে।

সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, শরীয়তপুর জেলা করোনা ঝুঁকিতে থাকায় মঙ্গলবার দুপুরে এক জরুরী সভায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সকলের সমিলিত সিদ্ধান্তে এ জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে।প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকল কে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

ই-খ/খবরপত্র