৩৯৫ রানের বিশাল টার্গেট। চতুর্থ ইনিংসে এমন টার্গেট ছুয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে যাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তা ছিল অনেকের ধারণার বাইরে। কিন্তু চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনে রেকর্ড গড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে উইন্ডিজকে রূপকথার জয় এনে দেন কাইল মায়ার্স। উইন্ডিজ শিবির সেই সুখস্মৃতিতে রোমন্থন করছে। তবে বাংলাদেশ শিবিরে চলছে হা হুতাশ। গত মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সেই হতাশা আবার ঝড়ল মিরাজের কণ্ঠে। ম্যাচটি বাংলাদেশ জিততে পারলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেতেন মিরাজই। সেই কষ্টটাও আছে তার। আছে আক্ষেপও। যদিও মিরাজ সেটা আড়াল করলেন, ‘না আক্ষেপ যেটা বলবো, আক্ষেপ ওরকম নেই। কারণ হলে ভালো হত, বাট এন্ড অফ দ্য ডে ক্রিকেট খেলা, যে কোনো কিছুই হতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ লাগছে যে টিমটা হেরে গেছে। আমরা ভাবতেও পারিনি যে টিমটা হেরে যাবে।’
দল জিতলে মিরাজের পারফরম্যান্স ফোকাস হতো। তখন অনুভ’তিটা রোমাঞ্চকর হতো। এ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘জিতলে হয়ত আমার পারফরমেন্সটা আরও ফোকাস হত। তবে আমরা কিন্তু টিমের জন্যই খেলি। টিম জিতলেই আমাদের ভালো লাগে। হেরে যাওয়াতে আমি যে রান করেছি বা উইকেট পেয়েছি, ওটার ভেতর তেমন মজা পাইনি। যদি ম্যাচটা জিততে পারতাম, আমার ফিলিংসটা আরও বেশি থাকতো, ভালো লাগাটা আরও বেশি থাকতো।’
তারপরও টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। যা ভালো লাগায় আচ্ছন্ন করছে মিরাজকে। যদিও দল হারাতে সেই উচ্ছাস তিনি দেখাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘প্রথম সেঞ্চুরি করেছি, অবশ্যই ভালো লাগছে এবং এটা আমার ক্যারিয়ারের জন্য অনেক বড় অ্যাচিভমেন্ট। যেহেতু লেট অর্ডারে ব্যাট করি, ভবিষ্যত ক্রিকেটে এবং আমার জন্য অনেক হেল্প করবে এই সেঞ্চুরিটা।’