শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮৭তম সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে দ্রুত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে -আমান শ্রীমঙ্গলে নারী চা শ্রমিক-কর্মজীবী নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য নিয়ে সংলাপ কালীগঞ্জে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম : আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বগুড়ার শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতদের স্মরণসভা দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে-রেজাউল করিম বাদশা দুর্গাপুরে আইনজীবীদের মানববন্ধন কয়রায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে জলঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ দুর্গাপুরে শেষ হলো দুইদিন ব্যাপি কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ

হাতিয়া-নিঝুম-কুতুবদিয়া দ্বীপ আসছে বিদ্যুতের আওতায়

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকার বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ বিভাগ পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল ও চরাঞ্চলসহ সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে।
এই রোডম্যাপের সুপারিশ অনুযায়ী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন দেশের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার হাতিয়া ও নিঝুম দ্বীপ এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের শতভাগ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। গত ৩ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদিত সেই প্রকল্পটি হলো ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিুদ্যতায়ন’। প্রকল্পটি বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)। এতে খরচ হবে মোট ৩৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা। তার মধ্যে সরকার দেবে ৩৭০ কোটি ৮৮ লাখ ৩১ হাজার টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৩ কোটি ৪৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমি এই প্রকল্পের গ্রেট সাপোর্টার। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ, কুতুবদিয়া দ্বীপ আমাদের জাতীয় গ্রিডের আওতাভুক্ত নয়। ঢাকায় বসে আমরা যে মানের বিদ্যুৎ পাচ্ছি, এইসব দ্বীপের মানুষও যেন সার্বক্ষণিক সেই বিদ্যুৎ সেবা পায় তা নিয়ে কাজ করছি আমরা। এটা একটা ইন্টারেস্টিং প্রকল্প।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে হাতিয়া দ্বীপ শতভাগ বিদ্যুতায়ন, মুকতারিয়া-নিঝুম দ্বীপ খাল দেড় কিলোমিটার ১১ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে নিঝুম দ্বীপ শতভাগ বিদ্যুতায়ন, কুতুবদিয়া চ্যানেলে ৬ কিলোমিটার ৩৩ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ বিদ্যুতায়ন এবং ৪২ হাজার গ্রাহককে (প্রায় ৪ লাখ ২ হাজার সংখ্যক জনগোষ্ঠী) বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা।
এসব উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে চারটি নতুন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মাণ (তিনটি হাতিয়া দ্বীপে ও একটি কুতুবদিয়া দ্বীপে), কুতুবদিয়া চ্যানেলে ৬ কিলোমিটার ৩৩ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন, মুকতারিয়া-নিঝুম দ্বীপ খালে দেড় কিলোমিটার ১১ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন, নতুন মোট ৬৭৬ কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণ (হাতিয়া দ্বীপে ৪৬৫ কিলোমিটার, নিঝুম দ্বীপে ৪৭ কিলোমিটার ও কুতুবদিয়া দ্বীপে ১০ কিলোমিটার), বিদ্যমান ৩৫ কিলোমিটার বিতরণ লাইন রেনোভেশন (হাতিয়া দ্বীপে ২৫ কিলোমিটার ও কুতুবদিয়া দ্বীপে ১০ কিলোমিটার), মোট ২ হাজার ৭০০টি পোল মাউটেন্ড বিতরণ উপকেন্দ্র স্থাপন (হাতিয়া দ্বীপে দুই হাজারটি, নিঝুম দ্বীপে তিনশটি ও কুতুবদিয়া দ্বীপে চারশটি) এবং অফিস ভবন কাম রেস্ট হাউজ, ডরমিটরি, সীমানা দেয়াল ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com