নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বান্দরবানের লামায় কর্মরত সাংবাদিকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। মুজাক্কিরের খুনিদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেন তারা। নইলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেয়া হয় মানববন্ধন থেকে। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় লামা প্রেস ক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব, সাংবাদিক ফোরাম সহ কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশ নেয়। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টায় লামা উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, লামা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, লামা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা প্রেস ক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দিন সহ প্রমূখ। জানা যায়, পড়াশুনার পাশাপাশি দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও অনলাইন পোর্টাল বার্তা বাজারে দুই বছর ধরে সাংবাদিকতা করতেন বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রাণ গেল তার। সন্তানের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা। শাস্তি চাইলেন হত্যাকারীদের। গত শুক্রবার বিকেলে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার চাপরাশির হাটে বসুরহাট পৌর মেয়র কাদের মির্জা ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হন মুজাক্কির। গুরুতর অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেলে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার মারা যান তিনি। এদিকে, মুজাক্কির হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন। দাবি জানান, প্রকৃত খুনিরা যাতে ছাড় না পায়। গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, আমরা যারা এই পেসার সঙ্গে জড়িত তাদের কোন নিরাপত্তা নেই। পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিহত মুজাক্কির নোয়াখালী সরকারি কলেজে দর্শন বিভাগে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিলেন। বাবা-মায়ের ৭ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তিনি।