বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
তীব্র গরমে কালীগঞ্জে বেঁকে গেছে রেললাইন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী দিদার পাশা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার উদ্যোগে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে কর্মশালা রায়পুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা আলী আহমেদের কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত পলাশবাড়ীতে প্রচন্ড গরমে ঢোল ভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তরমুজ বিতরণ জুড়ীতে টিলাবাড়ি ক্রয় করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক কাপড় তৈরির শিল্পকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাউজানে পথচারীদের মাঝে যুবলীগের ফলমূল ও ছাতা বিতরণ

ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী শিবিরে উৎসবের আমেজ

এম এ কাশেম জামালপুর :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

দানশীল, নেতা-কর্মী ও জনবান্ধব জেলা আওয়ামলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উদীয়ন নেতা ছানোয়ার হোসেন ছানুকে জামালপুর পৌরসভার নির্বাচনে মনোয়ন দেয়ায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে আওয়ামী শিবিরে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য জামালপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শত শত নেতা-কর্মীরা স্বত:ফুর্ত ভাবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনায় অংশ নেয়ায় গোটা পৌরবাসীর নজর কেড়ে নিয়েছে ছানু। তবে নানা প্রতিকুল আর দ্বিধা বিভক্তির কারণে হতাশার নিরবতা চলছে বিএনপি শিবিরে। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়ালেও প্রচার-প্রচারণায় অনেকটাই নিরব রয়েছে ধানের শীষ প্রতিকের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। ফলে নৌকার পালে হাওয়া বইছে জোরে-শোরে। দেড় শতাধিক বছরের পুরনো প্রথম শ্রেণীর জামালপুর পৌরসভার ইতিহাসে এবারই সব চেয়ে কম বয়সে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছানোয়ার হোসন ছানু। তিনি নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্ধ করছেন। এই নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন জামালপুর পৌরসভার দুই বারের নির্বাচিত সাবেক মেয়র কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড: শাহ মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী মামুন এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মেয়র প্রার্থী মুফতি মোস্তফা কামাল। এক সময় জামালপুর পৌরসভার বিএনপির শক্তিশালী অবস্থান থাকলেও এবার তা পাল্টে উদীয়মান কর্মী ও জনবান্ধব দানশীল ছানোয়ার হোসেন ছানুর কারণে। প্রথম শ্রেণীর এ ক্যাটগরি এই পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে জেলা আওয়ামলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উদীয়মান নেতা ছানোয়ার হোসেন ছানুকে নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন দেয়ায় চেয়ারটি দখলে নিতে সকল দ্বিধা-দ্বন্দ ভুলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠে কাজ করছে। এবারের পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। একদিকে যেমন দলে কোন্দল নেই, তেমনি গলার কাটা কোন বিদ্রোহী প্রার্থীও নেই। এছাড়া জামালপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডবাসী এবারই প্রথম মেয়র পদে একজন প্রার্থী পেয়েছেন। পাথালিয়ার বাসিন্দা আওয়ামীলীগের উদীয়মান নেতা ছানোয়ার হোসেন ছানু প্রার্থী হওয়ায় দলমত নির্বিশেষে এলাকার হাজার হাজার মানুষ তার সমর্থনে মাঠে নেমেছে। যার যার অবস্থান থেকে নৌকার প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ছানুর নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে নিজ উদ্যোগে। দলীয় নেতা-কর্মীর পাশপাশি সাধারণ মানুষ স্বত:ফুর্ত ভাবে নির্বচনী প্রচার-প্রচারণা চালানোয় গোটা পৌর এলাকা যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। দানশীল ছানু করোনাকালীন গোটা পৌর এলাকায় দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে গোপনে এবং প্রকাশ্যে ব্যাপক ত্রাণ সহায়তায় করায় এখন তার এই জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলেও মনে করছে পৌরবাসী। আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা বলেন, ছানোয়ার হোসেন ছানু সফল ভাবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করায় তিনি জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের আর্শিবাদ পুষ্ট নেতা বনে যান এবং জেলা আওয়ামলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর মেধায় কর্মী ও জনবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত লাভ করেন। আওয়ামীলীগের প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ছানুর বাড়তি সুবিধা হলো জামালপুরের উন্নয়নের কর্ণধার সাবেক বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের খুবই ঘণিষ্ঠ ও আস্থা ভাজন। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে জামালপুর পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন হবে এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। এজন্য এবারের নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছেন উদীয়মান এই মেয়র প্রার্থী। এ প্রসঙ্গে আওয়ামীলীগ প্রর্থী ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় জামালপুরে ৫০ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আরও অনেক বড় বড় প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। জামালপুর পৌর শহরকে একটি মডেল শহর গড়ার লক্ষ্যে জামালপুরের উন্নয়নের কর্ণধার মির্জা আজম কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আশা করছেন এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জামালপুর পৌরবাসী তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। আর তিনি নির্বাচিত হলে মির্জা আজমের নেতৃত্বে জামালপুর পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে রূপান্তরিত করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। আওয়ামীলীগ নেতারা বলেন, নৌকা প্রতিকের মেয়র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন হোসেন ছানু বয়সে তরুণ হলেও তিনি একজন কর্মী ও জনবান্ধব একজন নেতা ও দানশীল ব্যক্তি। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি করোনাকালীন দরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে ব্যাপক ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে তাদের সার্বিক সহায়তা করে আসছেন। কম বয়সে একজন জনবান্ধব নেতা হওয়ার সুবাদেই তিনি আওয়ামীলীগের শক্তিশালী সিনিয়র নেতাদের ডিঙ্গিয়ে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেছেন। দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ সকল নেতা-কর্মীদের বিশ্বস বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ছানু বিজয় লাভ করবে। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী এড: শাহ মো: মোহাম্মদ ওয়ারেছ আলী মামুন পর পর দুই বার জামালপুর পৌরসভার চেযারম্যান ও মেয়রের দায়িত্ব পালন করলেও গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মির্জা সাখাওয়াতুর আলম মণির কাছে পরাজিত হন। এবারও তিনি ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নানা প্রতিকুলতার কারণে প্রচার-প্রচারণায় অনেক পিছিয়ে বিএনপির এই প্রার্থী। নেতা-কর্মীরাও ঝিমিয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে বিএনপির নিরবতার কারণেই আওয়ামীলীগের দখলে রয়েছে জামালপুর পৌরসভার নির্বাচনী মাঠ। তবে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এড: শাহ মো: ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, নির্বাচনের প্রতিক বরাদ্দের পর থেকে আওয়ামী প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের বাঁধার কারণে তার নেতা-কর্মীরা প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারছে না। নির্বাচনী প্রচারে নামলেই নানা ভাবে নৌকা প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের বাধার সম্মখিন হচ্ছে। তিনি আরো বলেন- তার নেতা-কর্মীরা প্রচারনায় মাঠে নামলেই তাদেরকে হুমকি ও মারধর করা হচ্ছে। নৌকা প্রার্থীর কর্মীদের এসব কর্মকান্ডের একাধিক অভিযোগ রিটানিং অফিসারকে লিখিত ভাবে অবিহিত করলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। সব মিলিয়ে নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই বলেও তিনি অভিযোগ করেন। সুষ্ঠু নির্বাচনে অনুষ্ঠানের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। জামালপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিক বরাদ্দের পর ৩ জন মেয়র প্রার্থীর পাশপাশি ১২টি ওয়ার্ডে ১৩ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও ৪১ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদন্দিতা করছেন। এর মধ্যে ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। জামালপুর পৌরসভার মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১ লাখ ৮ হাজার ৭২৭ জন। এর মধ্যে ৫২ হাজার ১৫১ জন পুরুষ ও ৫৬ হাজার নারী ভোটার। এবারের নির্বাচনে ইলেক্টোয়াল ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে এসব ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com