রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ন

হালাল ব্যবসা যেভাবে হারাম হয়

সাইফুল্লাহ হিমেল:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

মহান আল্লাহ ব্যবসায়কে হালাল করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম। সূরা বাকারার ২৭৫ নং আয়াতে এমনটিই বলা হয়েছে। বর্তমান পৃথিবীর মানবম-লীর বড় একটি অংশ ব্যবসার সাথে জড়িত। আমাদের অনেকেই চাকরি পাশাপাশি ছোট-বড় অনেক ব্যবসাও করে থাকি। প্রত্যেকটি কাজের হালাল হারামের দু’টি স্তর রয়েছে। প্রথমতো কিছু কাজ ইসলাম সরাসরি হারাম করেছে আর কিছু ইসলাম সরাসরি হালাল করেছে। আর কিছু কাজ আছে ক্ষেত্রবিশেষে হালাল হারাম। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় এই তিন প্রকারের বাইরে একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে। প্রত্যেকটি কাজেরই সঠিক কর্মপন্থা আছে। কাজটি সঠিক পন্থায় না করে ভুল পন্থায় সম্পাদন করা হলে হালাল কাজটি হারাম হতে পারে। যারা ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের এই বিষয়ে অধিক সতর্ক থাকতে হবে। কারণ প্রতি মূহূর্তে নতুন নতুন মানুষের সাথে তাদের বেচাকেনা করতে হয়।
মনে করুন আপনি চালের দোকানদার। একজন ক্রেতাকে কম দামি চালকে বেশি দামি চালের নাম বলে একটু ঠকিয়ে দিলেন। চালের নাম পরিবর্তন করে যে টাকা আপনি বেশি নিলেন এতে আপনার পুরো টাকাটাই দূষিত হয়ে গেল। আবার কোনো ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার জন্য বা ক্রেতার আস্থা অর্জনের জন্য একটু মিথ্যা কথা বললেন তাহলে কিন্তু আপনি ভালোর সাথে খারাপ মিশিয়ে ফেললেন। যেমন- একটি জুতা ফ্যাক্টরি থেকে কিনে দোকানে আনতে খরচ হয়েছে এক হাজার টাকা। এই জুতাটি আপনি ক্রেতার সাথে দামদর করে লাভে বিক্রি করতে পারেন। এটা ইসলাম বৈধ মনে করে। কিন্তু ক্রেতার বিশ্বাস অর্জন করতে আপনি বললেন, ‘ভাই আমি এটা কিনেছি এক হাজার ২০০ টাকা দিয়ে আপনি কিছু লাভ দিয়ে নিতে পারেন।’ এইবার কিন্তু আপনি মিথ্যা বলেছেন। কারণ আপনার খরচ হয়েছে এক হাজার। সামান্য একটু মিথ্যার জন্য আপনার পুরো টাকাই হারাম মিশ্রিত হয়ে গেল। তাই ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে এমন কোনো কথা বলা যাবে না যা অসত্য এবং যে কারণে ক্রেতার আপনাকে বিশ্বাস করে ঠকতে পারে এমন কথাও বলা যাবে না।
আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা খারাপ মালের সাথে ভালো মালের অদল-বদল করো না’ (সূরা নিসা : ৪)। কুরআনের এই অংশ থেকে বোঝা যায় যে, কিছু হালাল আর কিছু হারাম মিশিয়ে খাওয়া যাবে না। তাই সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। যদিও আপনি টাকা দিয়ে কিনে লাভ করে বিক্রি করেছেন। কিন্তু আপনি মিথ্যা বলে ক্রেতাকে ঠকানোর কারণে হালালের সাথে হারাম মিশ্রিত হয়েছে। উপরের এই আয়াত থেকে আরো বোঝা যায় যে, খারাপ মালকে ভালো বলে বিক্রি করা যাবে না। যেমনটি উপরে আমরা চাল বিক্রেতাকে দিয়ে উদাহরণ দিয়েছি। ভালো কলার মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু খারাপ কলা মিশিয়ে দেয়া, ভালো জমি দেখিয়ে টাকা নিয়ে রেজিস্ট্রি করা সময় নিম্নমানের কোনো জমি দেয়া। শহর এলাকায় ভূমি ব্যবসার ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা হরহামেশাই শোনা যায়। লেখক : সাংবাদিক




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com