দেশবরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। অভিনয়ের জন্য স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক সম্মাননা। রাষ্ট্র তাকে সম্মানিত করেছে একুশে পদক দিয়ে। আমৃত্যু তিনি দেশের সংস্কৃতি নিয়ে ভেবেছেন। অভিনয়কে মিস করেছেন। তবে ব্যক্তি জীবনে ধার্মিক ছিলেন এ অভিনেতা। তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি ১১ বার হজ করেছেন। জানা গেছে, মক্কা ও মদিনার প্রেমে পাগল ছিলেন তিনি। নিজের রুমে বড় করে একটি মক্কার ছবিও টানিয়ে রাখতেন তিনি।
ইচ্ছে ছিলো আরও একবার হজ করবেন। কিন্তু সেই ইচ্ছা পূরণ হলো না। গেল শনিবার পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গেলেন এটিএম শামসুজ্জামান। এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল রাতে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এ টি এম শামসুজ্জামান। সেদিনও খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। রাতে তাকে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার হয়। টানা ৫০ দিন এই হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ওই বছরেরই ১৫ জুন তাকে শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি হলে তাকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর আন্ত্রিক প্রতিবন্ধকতা দেখা গেলে এটিএম শামসুজ্জামানকে জরুরি অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে একাধিকবার এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর গুজব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেসব পেছনে ফেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে বেশ কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ২০২০ সালেও তিনি অসুস্থ হয়েছেন। অবশেষে সর্বশেষ গেল সপ্তাহে শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে খানিকটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিলেছিলেন। কিন্তু গেল ২০ ফেব্রুয়ারি সব থামিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। সেদিন বাদ আসর রাজধানীর পুরান ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। এর আগে বাদ জোহর নারিন্দার পীর সাহেব বাড়ি মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। অভিনেতার শেষ ইচ্ছে পূরণ করেই সম্পন্ন হয় জানাজা।নারিন্দার পীর সাহেব জানাজার ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।