মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

পীরগঞ্জে (এমকেপি) বাজার কমিটি ও পরিবহন শ্রমিকদের অংশগ্রহণে কোভিড-১৯ বিষয়ে সচেতনতা সভা

মুনসুর আহম্মেদ পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১

২৪ মার্চ, বুধবার মানব কল্যাণ পরিষদের (এম কে পি) মানব কল্যাণ পরিষদের আয়োজনে বাজার কমিটি ও পরিবহন শ্রমিকদের অংশগ্রহনে কোভিড-১৯ বিষয়ে সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত। পীরগঞ্জ প্রেসক্লাব হল রুমে প্রমোশন অফ সোশ্যাল পার্টনারশীপ ফর ইমপাওয়ারম্যান্ট অফ মারজিনালাইজড কমিউনিটিস ইন ৬ ডিসট্রিক্ট এন্ড এ্যাট ন্যাশনাল লেভেল ইন বাংলাদেশ (প্রসপেক্ট) মানব কল্যান পরিষদ কতৃক আয়োজিত, নেটজ্ বাংলাদেশের কারিগরী সহযোগিতায়,বিএম জেড এর আর্থিক সহযোগিতা পোস্ট -পেড প্রকল্পের অধীনে ২৪ মার্চ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন,মানব কল্যান পরিষদের উপজেলা কমিটির সভাপতি ও পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন বাবুল, ভোরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন দুলাল সাংবাদিক বিষ্ণুপদ রায়, এরিয়া কোডিনেটর রোশন আরা রোজী, ফিল্ড ফেসিলেটর শিরিন সুলতানা, কোভিড -১৯ সহকারী অফিসার তমিজুল ইসলাম, হাট ইজারাদার পলাশ চন্দ্র রায়, ব্যবসায়ি আবু তাহের প্ররথ। উল্লেখ যে কোভিড- ১৯ সম্্পর্কে সচেতনতা নিয়ে আলোচনা করোনা ভাইরাস সম্পর্কে এখন সচেতন মানুষ সবারই কম-বেশি ধারণা আছে। এজন্য এ নিয়ে ভূমিকা কম লিখলাম। আসলে জোর দিচ্ছি কীভাবে নিজেকে আর নিজের পরিবারকে এই রোগ থেকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। কয়েকটি সাধারণ অভ্যাস মেনে চললে এ থেকে বেঁচে থাকা খুবই সহজ হয়ে যায়। ঘন ঘন ভালো করে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। যদি সম্ভব হয়, প্রতি ২ ঘণ্টা পর পর হাত ধোয়া উচিত। ভালো করে বলতে অ্যালকোহল বেসড সলিউশন, যা বাজারে হেক্সিসল বা হেক্সিরাব নামে পাওয়া যায়, সেসব দিয়ে হাত ধুতে পারলে ভালো। না পারলে ভালো সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করা উচিৎ। অন্তত ২০ সেকেন্ড প্রবাহমান পানির নিচে হাতের তালু, আঙুলের ফাঁকা জায়গা, নখ ভালো করে ঘষে কবজি পর্যন্ত হাত ধোয়া। বাইরে থেকে এসে এবং খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে হাত ধুতে হবে।বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করা ভীষণ জরুরি। এন৯৫ বা এন৯৯ মাস্ক ব্যবহার করতে পারলে ভালো। তবে, আমাদের দেশে এগুলো অপ্রতুল বিধায় আর যেহেতু এখনও দেশে করোনা ভাইরাসের আউটব্রেকের খবর পাওয়া যায়নি, অন্তত সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহারের অনুরোধ করছি। সার্জিক্যাল মাস্কগুলো সাধারণত ৩ লেয়ারের হয়। যেগুলো সাধারণ ক্ষেত্রে ভাইরাসকে আটকাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে গবেষণা চলছে। বিতর্কেরও শেষ নেই। এজন্য বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করে অন্তত ২টা মাস্ক একত্রে ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। আর নীল-সাদা কোন পাশ বাইরে রাখতে হবে, সেটা নিতান্তই ব্যক্তিগত। উভয় ক্ষেত্রেই তিনটি লেয়ার থাকে যেহেতু, সুরক্ষাও একই থাকে। সাধারণত নীল পাশ বাইরেই রাখা হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, মাস্কের যে পাশ সামনে থাকে তাতে আড়াআড়িভাবে থাকা ভাঁজ গুলো যাতে নি¤œমুখী থাকে। তাহলে ভাঁজেভাঁজে ধুলোবালি আটকে থাকার সম্ভাবনা কমে যায়। এ ভাইরাসগুলো সাধারণত কয়েক মিটার দূরত্ব গিয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্য রোগাক্রান্ত ব্যক্তির থেকে অন্তত ২ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলাই উত্তম। আর যাদের উপসর্গ দেখা দেবে, তাদের থেকেও নিরাপদ দূরত্ব রেখে চলতে হবে। হাঁচি দেওয়ার সময় অবশ্যই নাক-মুখ ঢেকে হাঁচি দিতে হবে। প্রয়োজনে টিস্যু দিয়ে ঢেকে সেই টিস্যু ফেলে দিতে হবে যাতে সে টিস্যু থেকেও আবার জীবাণু না ছড়ায়। আর হাতের কাছে টিস্যু বা রুমাল না থাকলে হাতের কনুই বাকা করে সে ভাঁজ দিয়ে নাক ঢেকে হাঁচি দিতে হবে। হাতের তালু ব্যবহার না করাই ভালো। হাতের তালু দিয়ে সব জায়গায় স্পর্শ করা হয়, এজন্য হাতের তালু নাক বা মুখের কাছে নিলে তা থেকেও বাইরে থেকে শ্বাসনালীতে জীবাণু ঢুকার সম্ভাবনা থেকে যায়। এ ভাইরাস রোদে বেশিক্ষণ থাকলে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্য বাইরে থেকে এসে ব্যবহৃত পোশাক-পরিচ্ছদ ভালো করে রোদে বা উ”চ তাপমাত্রায় শুকাতে হবে। ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের পাবলিক প্লেস এড়িয়ে চলতে হবে। জ্বর-কাশি-সর্দি থাকলে তাদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব (অন্তত ২ মিটার) বজায় রাখতে হবে। করমর্দন পরিহারযোগ্য। বাজারে বা কসাইখানায় নাক ঢেকে প্রবেশ করতে হবে। বাজার থেকে কিনে আনা মাংস ভালো করে সেদ্ধ করে রান্না করতে হবে। পশু-পাখির সংস্পর্শ কিছুদিন পরিহার করাই ভালো। এখন যেহেতু ঋতু পরিবর্তনের সময়, জ্বর-অ্যালার্জিজনিত হাঁচি কাশি বা কমন কোল্ড, কিছুটা শ্বাসকষ্ট- এগুলো খুবই নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। তাই জ্বর, মাথাব্যাথা, বমি বা শ্বাসকষ্ট হলেই প্যানিক না হয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com