একজন বলছেন তার জার্নিটা ‘সুররিয়াল’ আর একজনের কাছে তা ‘ন্যাচারাল’। দু’জনের চিন্তাধারায় পার্থক্য থাকলেও, ইন্ডাস্ট্রির চেনা ছক বদলে দেওয়ার ক্ষমতা তাদের এক করে দিয়েছে। তারা হলেন রাজকুমার রাও এবং আয়ুষ্মান খুরানা। ইন্ডাস্ট্রিতে আয়ুষ্মানের চেয়ে বছর দুয়েকের সিনিয়র রাজকুমার। ‘লাভ সেক্স অওর ধোঁকা’র মতো এক্সপেরিমেন্টাল ফিল্ম দিয়ে কেরিয়ার শুরু করা রাজকুমারের যাত্রায় চড়াই-উতরাই ছিলো অনেক। সেই তুলনায় প্রথম সিনেমা ‘ভিকি ডোনর’-এর জাতীয় পুরস্কার পাওয়া বাড়তি সুবিধা দিয়েছে আয়ুস্মানকে। তবে দু’জনেই ফ্লপের ধাক্কা খেয়েছেন। কিন্তু গতানুগতিকতা আঁকড়ে ধরেননি। বরং অন্য ধরনের সিনেমায় আস্থা রেখেছেন। আয়ুষ্মান মানেই ‘আর্টিকল ফিফটিন’, ‘বধাই হো’, ‘অন্ধাধুন’ সিনেমা। আর রাজকুমার রাও এর রয়েছে ‘নিউটন’, ‘ওমের্তা’, ‘স্ত্রী’-র মতো সিনেমা। ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ছাত্র রাজকুমার বলছেন, ‘‘শুরুর দু’বছর হাতে কোনও টাকা ছিল না। বাড়ি থেকে টাকা চাইতে হত। তবে মা আমার উপরে আস্থা রেখেছিলেন। মায়ের কথাতেই মাটি কামড়ে পড়ে ছিলাম। পিছনে ফিরে তাকালে সবটাই সুররিয়াল মনে হয়।’’ সেই সাথে রাজকুমার রাও বলেন, তিনি টাকার পিছনে ছোটেন না। তার কাছে ভালো সিনেমা সব।‘আলিগড়’, ‘শাহিদ’-এর অভিনেতা এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি টাকা আর খ্যাতির পিছনে ছোটেন না। তার কাছে ভাল সিনেমাই শেষ কথা। এদিকে এই ভাল সিনেমার তাগিদেই নিজের একটা স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি করেছেন আয়ুষ্মান। ‘বালা’, ‘শুভমঙ্গল জ়াদা সাবধান’-এর মতো বিষয় বেছে নিয়ে প্রমাণ করেছেন, বড় নায়ক হতে গেলে লার্জার দ্যান লাইফ ছবিই একমাত্র রাস্তা নয়। আয়ুষ্মানের কথায়, ‘‘দেশের অন্যান্য তরুণের চেয়ে আমার স্ট্রাগল আলাদা নয়। তাদের মতোই আমার কেরিয়ারেও ওঠা-পড়া আছে।’’ রাজকুমার-আয়ুষ্মানের দু’জনেই আমজনতার কাছে নিজেদের গল্প বলেন যা তাদেরকে ভক্তদের আরো কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার