তারকা খ্যাতির আগে এবং চলচ্চিত্রে কাজের প্রথম দিনগুলোতে মার্কেট-বিপণিকেন্দ্রে নিজেই গিয়ে পছন্দসই ঈদের নতুন পোশাক কিনতেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। ঈদের দিনে বান্ধবীদের বাসায় বেড়াতে যেতেন। দাওয়াত খেতেন এবং বিকেল গড়ালেই বান্ধবীদের নিয়ে শহর চষে বেড়াতেন। অপু বিশ্বাসের বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া এসকে লেনের বহুতলবিশিষ্ট শেফালী ভবনে গিয়ে স্বজন এবং পাশের বাসার প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এমন তথ্য। অপু বিশ্বাস যখন চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেননি, তখন ঈদ উপলক্ষে শহরে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন। অপু বিশ্বাসের বগুড়ার বাসা শেফালী ভবনের দেখভাল করেন তার মামা স্বপন কুমার রায়। থাকেন ছয়তলার ফ্ল্যাটে।
স্বপন কুমার রায় বলেন, কাটনারপাড়া মহল্লায় হিন্দু-মুসলমানের সৌহার্দ্য-সম্প্রতির বসবাস দীর্ঘদিনের। এ কারণে মুসলমান সম্প্রদায়ের ঈদে এখনো ঘরে ঘরে খুশির বন্যা বয়ে যায়। মুসলমানেরা নিমন্ত্রণ করেন হিন্দু প্রতিবেশীদের। এ কারণে শৈশব থেকেই অপু বিশ্বাসের কাছে ঈদের দিনটি ছিল বান্ধবীদের সঙ্গে আড্ডা, ফুর্তি, হই-হুল্লোড় আর খুশির দিন।
স্বপন কুমার রায় বলেন, ঈদ এলেই বাবা-মায়ের কাছে নতুন পোশাকের আবদার করতেন অপু। নিজেই মার্কেটে গিয়ে পছন্দের জামা কিনতেন। সকালে নতুন জামা পরে বান্ধবীদের বাসায় বেড়াতে যেতেন। তবে তারকা খ্যাতির পর চলচ্চিত্রে ব্যস্ততার কারণে বগুড়ায় খুব একটা ঈদ উদযাপন করা হয়নি অপুর। সর্বশেষ সাত-আট বছর আগে একবার বগুড়ার বাসায় ঈদ করেছেন। কাটনারপাড়ার বাসিন্দা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ফরিদ বলেন, শৈশবে খুব মিশুক প্রকৃতির মেয়ে ছিলেন অপু। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও বিচরণ করতেন।