কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে পুরাতন ঝুঁকিপুর্ণ সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলন করে নির্মাণ করা হচ্ছে সোনাহাট নতুন সেতু রক্ষা বাঁধ। নির্মিত বাঁধ থেকে আনুমানিক ১শ’ গজ এবং পুরাতর সেতুর পিলারের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করায় হুমকির মুখে পড়েছে পুরাতন ঝুঁকিপুর্ণ সেতু ও সদ্য নির্মিত সোনাহাট নতুন সেতু রক্ষা বাঁধ। জানা গেছে, দুধকুমর নদের ওপর অবস্থিত শতবর্ষী পুরাতন সেতুর দক্ষিণে ২৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৪৫ মিটার দৈর্ঘের (১৩টি পিলার সম্বলিত) সেতু নির্মাণ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কিন্তু মটির স্তরগত সমস্যার কারণে দীর্ঘ ১৭ মাস যাবত সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় সেতুর উভয় পার্শ্বে ৮১৪ মিটার সেতু রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করছে দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এমএ এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতুর পশ্চিম তীরে ৩১৪ মিটার সেতু রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করছে। ঠিকাদারী প্রাতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেতু রক্ষা বাঁধের ৬ মিটার টপ, ২০ মিটার স্লোপ এবং ২৮ মিটার লাঞ্চিং এপ্রোন বিশিষ্ট্য সেতু রক্ষা বাঁধের মাটির কাজে বাঁধ থেকে ১শ’ গজ এবং পুরাতন সেতুর পিলারের কাছ দুটি অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এই বাঁধ নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৯ কোটি ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩১ টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্ব প্রাপ্ত এসও মোস্তাফিজুর রহমান সুজন জানান, তিনি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করেছেন। তার দাবী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানও ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছে না। বালু উত্তোলন করে বাঁধে ফেলছে কে? এ প্রশ্নের জাবাবে তিনি জানান, কে বা কারা ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে বাঁধে ফেলছে তা জানা নেই। জানাগেছে, একটি প্রভাবশালী মহল সাব-কন্ট্রাকের মাধ্যমে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বাঁধে ফেলছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ম্যানেজার ফজলুল হক জানান, তার সাইটে ড্রেজার দিয়ে তোলা বালু ফেলা হচ্ছেনা। স্থানীয়রা বিক্রির উদ্দেশ্যে বালু উত্তোলন করছে। বালু উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ড্রেজার মালিক গোলাপ মিয়া জানান, শাহজাহান সোহাগের নির্দেশে তিনি বালু উত্তোলন করছেন। তবে শাহজাহান সোহাগের সাথে মোবাইলে যোগাাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) জাহেদুল ইসলাম জানান, আমরা খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।