নওগাঁর রাণীনগরের একডালা ইউনিয়নের নারায়নপাড়া গ্রামে রাতের আধারে পূর্বশত্রুতার জেরে ৩ বিঘা জমির আধা-পাকা ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরম বিরাজ করছে। জমির মালিক আব্দুল গফুরের ছেলে রুবেল আকন্দ বলেন, প্রায় ১০বছর যাবত একডালা ইউনিয়নের নারায়নপাড়া মাঠে গোপালপুর মৌজায় ১একর ২৩শতাংশ ধানী জমি ভোগ দখল করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে কিছুদিন যাবত একই গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে বছির আলী মিঠু ওই জমির মালিকানা দাবি করে আসছেন। জমিজমা নিয়ে গফুর আকন্দ ও বছির আলীর মিঠুর পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তারই জের ধরে মিঠু শনিবার রাতের আঁধারে ওই তিন বিঘা জমির আধা-পাকা ধান কেটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বছির আলী মিঠুসহ ৫জনের বিরুদ্ধে রোববার বিকেলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তিনি আরো বলেন ঘটনা ঘটার পরদিন সকালে আমি বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। বছির আলী মিঠু বলেন ওই জমিগুলো ৮মাস আগে আমি জমির মালিকের অংশীদারের কাছ থেকে কিনেছি। জমির ধানও আমি রোপন করেছি। তাই রাতে আমি ধান কেটে রেখে পরের দিন সকালে বাড়িতে নিয়ে এসেছি। একডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম বলেন কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত বিষয়টি আমাকে জানায়নি। তবে রাতের আধাঁরে জমি থেকে বছির আলী মিঠুর ধান কাটার কাজটি ঠিক হয়নি। জমিতে ধান রোপন করেছে আব্দুল গফুর আকন্দ। তারাই জমির ধান পাওয়ার মালিক। যদি জমির মালিকানা নিয়ে ঝামেলা থেকে থাকে তাহলে ধান কাটার পর যাবতীয় কাগজপত্রাদি নিয়ে উভয় পক্ষ বসে বিষয়টি শান্তিপূর্ন সমাধান করতে পারতো। রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শাহিন আকন্দ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফোর্স সরেজমিনে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং তদন্ত করে এসেছে। তবে উভয় পক্ষই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে বসে দ্রুত সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছে। যদি বিষয়টি তারা নিজেরা সমাধান করতে না পারে সেই ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।