দিনাজপুরের হিলিতে জোরপূর্বক গাইডওয়াল নির্মাণে পুকুর থেকে পানি সেচ করে ৭০ লাখ টাকার মাছের ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে। তবে জনস্বার্থে পুকুর পাড়ে গাইড ওয়াল নির্মাণ করতে হবে, মাছ তুলতে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন পুকুর মালিককে ইউএনও। এদিকে ইউএনও’র নির্দেশ অমান্য করে পুকুর থেকে পানি সেচ চলমান রেখেছে গ্রামবাসী ও স্থানীয় চেয়ারম্যান। সোমবার (১৯ এপ্রিল) হিলির কাঁকড়া বালি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কবর স্থান ও রাস্তার পাশে স্থানীয় আবু সাইদের একটা ৯ বিঘারও বেশি একটি মাছ চাষের পুকুর রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত ঐপুকুরে তিনি মাছ চাষ করে আসছেন। পুকুরের পাশে অবস্থিত কবর স্থান ও রাস্তাটি ভেঙে অনেকটা পুকুরের গর্ভে বিলিণ হয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসী ও স্থানীয় চেয়ারম্যান জোরপূর্বক পুকুরপাড় বাঁধার গাইড ওয়াল নির্মাণ চেষ্টা করছি। শুধু তাই নই সোমবারে মাছ ভরা পুকুরটিতে পানি সেচের জন্য দুইটি সেলোমেশিন স্থাপন করে এবং জোরপূর্বক পুকুরের সেচতে শুরু করে। পুকুর মালিক আবু সাইদ পুকুরের মাছ তোলার জন্য কিছুদিন সময় চায়। কিন্তু গ্রামবাসী ও স্থানীয় চেয়ারম্যান তাকে উপেক্ষা করে মাছ ভর্তি পুকুরের পানি সেলো দ্বারা বেড় করে দিতে থাকে। শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করলে, ইউএনও জনস্বার্থে পুকুর মালিককে মাছ তুলার জন্য এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দেন। এক সপ্তাহের মধ্যে মাছ তুলার পর, কবর স্থান ও রাস্তা রক্ষার্থে পুকুরে গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্য পানি সেচ করতে হবে। ইউএনও চেয়ারম্যানকে এক সপ্তাহের জন্য পানি সেচ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। তার নির্দেশ অমান্য করে পুকুরে পানি সেচ চলমান রেখেছে। পুকুর মালিক আবু সাইদ বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আমি আমার পুকুরে মাছ চাষ করে আসছি। পুকুর পাড়ে বাঁধ নির্মাণ করবে গ্রামবাসী ও স্থানীয় চেয়ারম্যান এটা ভাল উদ্যোগ। কিন্তু আমার ক্ষতি করে না। তারা আমার পুকুরের মাছ তুলার কোন সুযোগ না দিয়ে, জোরপূর্বক পুকুরে সেলো মেশিন বসাতে পারে না। পরে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট বিষয়টি অবগত করি এবং তিনি মাছ তুলার জন্য আমাকে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা ইউএনও’র নির্দেশও মানেনি। উপজেলার ২নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেফতাউল জান্নাত মেফতা বলেন, জনস্বার্থে আমি পুকুর মালিককে একাধিক বার বলেছি পুকুরের মাছ তুলে নিতে। আমরা পুকুর পাড় বাঁধার জন গাইড ওয়াল নির্মাণ করবো। তিনি বিষয়টি আমলে না নেওয়ার কারণে ইউএনও স্যারকে অবগত করে পানি সেচের ব্যবস্থা করি। এবিষয়ে হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর-এ আলম জানান, পুকুর মালিককে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তিনি এই সময়ের মধ্যে পুকুরের সকল মাছ তুলে ফেলবেন। এক সপ্তাহের পর পুকুরে পানি সেচ করা হবে।