সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪২ অপরাহ্ন

ফটিকছড়িতে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট, জনজীবনে হাহাকার!

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১

দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌর এলাকাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে তীব্র খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। টিউবওয়েলগুলোতে পানি উঠছে না। এতে বিভিন্ন এলাকায় পানি সংকটের কারণে রীতিমত হাহাকার শুরু হয়েছে। রোজা ও করোনাকালে পানির জন্য অনেকের ভোগান্তি বেড়েছে। এছাড়াও বোরো ধানে সেচ দিতেও কৃষকরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। বিকল্প পন্থায় পানি উত্তোলনের চেষ্টা করছেন কৃষকরা। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস বলছে, অসংখ্য সাব-মার্জিবল পাম্প স্থাপন ও ফসলি জমিতে সেচ দেয়ার জন্য গভীর নলকূপগুলো বসানোর জন্যই মূলত পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় অগভীর টিউবওয়েলগুলোতে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফটিকছড়ি পৌরসভার রাঙামাটিয়া, উত্তর ধুরং, নাজিরহাট পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড ও ফকিরহাট, পাইন্দং ইউনিয়নের পশ্চিশ হাইদচকিয়া, সুন্দরপুর ইউনিয়নের আজিমপুর,বড় ছিলোনীয়া, ভুজপুর ইউনিয়নের ২নং ও ৯নং ওয়ার্ড, দাঁতমারার ৩নং ওয়ার্ড, কাঞ্চননগর ইউপির ৫নং ওয়ার্ডেসহ উপজেলা বেশ কিছু এলাকায় তীব্র বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া ফটিকছড়ি পৌর বিভিন্ন এলাকাতেও দীর্ঘক্ষণ টিউবওয়েলে মিলছে না পানি। গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়েই পুকুর/খালের ময়লা পানি ফুটিয়ে পান করছেন এবং ব্যবহার করছেন দৈনন্দিন কাজেও। অনেকেই আবার কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে কাঁধে কিংবা মাথায় করে নিয়ে আসছেন বিশুদ্ধ পানি। দুই মাস ধরে পানি সংকটে কষ্ট করে আসছেন এ উপজেলার অনেক পরিবার। উপজেলার উত্তর ধুরং এলাকার প্রকৌশলী তৌহিদুল আলম জানান, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এলাকার টিউবওয়েল গুলো থেকে পানি উঠছে। যার ফলে মানুষকে রোজার মধ্যে বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’ ভুজপুরের বাসিন্দা ও স্কুল কলেজ শিক্ষক মোস্তফা মানিক জানান, ‘আমাদের গ্রামের কমপক্ষে ৩০টি টিউবওয়েলে গত দুই মাস ধরে পানি উঠছে না। রমজান মাসে মুসল্লিরাও অজু করতে কষ্ট হচ্ছে।’ পাইন্দং ইউনিয়নের ঈসা রিফাত জানান, ‘আমাদের এলাকার প্রায় ৫০ টার উপরে টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। তবে কেউ কেউ বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে পাইপ বসিয়ে কোনো রকম খাবার পানি সংগ্রহ করছেন।এই করোনার সময় এভাবে পানি সংগ্রহ করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ।’ উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রণবেশ মহাজন জানান, ‘নরমালি ১২০/১৩০ ফুট গভীর নলকূপগুলো থেকে পানি উঠছে না। সরকারিভাবে স্থাপন করা গভীর তারা পাম্পগুলোতে পানি উঠছে। গ্রীষ্মের এই সময়টাতে সচরাচর পানির স্তর নিচে নেমে যায়।এমন কি পুকুরের পানিও কমে গেছে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার কারণে।’ ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদুল আরেফিন জানান,’দীর্ঘদিন বৃষ্টি হচ্ছে না তাই পানির লের কমে গেছে। উপজেলার সব জায়গায় এমনটি হচ্ছে। বৃষ্টি হলে সমস্যা টিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com