সময়টাই যেন খারাপ। কিছুতেই স্বস্তি মিলছে না মানুষের। করোনা মহামারীতে নিজের ও পরিবারের সুস্থতা নিশ্চিত করতেই যেখানে হিমশিম খেতে হচ্ছে, তার ওপর পড়েছে প্রচ- গরম। এ যেন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’! শুরু হয়ে গিয়েছে গ্রীষ্মের তাপদাহ। আর এ গরমেই আমাদের শরীরে নানারকম অস্বস্তি শুরু হয়। একটুতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ি। সব কাজে অনীহা আসে। কেন এমন হয় এ থেকে পরিত্রাণের উপায় বা কী সে বিষয়ে জানা দরকার।
পর্যাপ্ত পানি পান: একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা দরকার। গরমকালে ঘামের সঙ্গে যেহেতু পানি ও লবণ বের হয়ে যায় ফলে স্যালাইন, পানি ও ফলের রস খেতে হবে। অবশ্যই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। ডাবের পানিও এসময় অত্যন্ত উপকারী।
ক্লান্তি: মেলাটোনিন আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি। অতিরিক্ত গরমে আমাদের শরীরের মেলাটোনিন উৎপাদন কমিয়ে দেয়। তার মাত্রা কমে গেলে আমাদের শরীরের ক্লান্তিভাব বেশি হয়। কারণ, গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখার জন্য ঘাম হওয়া প্রয়োজন। আর সেটা করতে শরীরের যথেষ্ট পরিশ্রম হয়। তাই শরীর অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এ জন্য রোদে বের হওয়ার আগে ছাতা ব্যবহার করতে হবে সেই সাথে সানগ্লাস।
ঘুম কম: শরীরে মেলাটোনিনের সংখ্যা কমে গেলে ঘুম আসতেও দেরি হয়। যেহেতু গরমে দিন বড় এ জন্য রাতে শরীর মানিয়ে নিতে সময় নেয়। ঘুম আসতে দেরি হয়। ঘুমের অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। ঘুমের সময় সঙ্গে ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে রাখবেন না।
ডিহাইড্রেশন: অত্যধিক মাত্রায় ঘাম হলে শরীর থেকে সব পানি বেরিয়ে যায়। তাতে পেটের সমস্যাও তৈরি হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে পেট ফুলে থাকে অনেকের। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়, বেশি পরিমাণে পানি পান করা। সেই সাথে শরবত, তরল খাবার বেশি খাওয়া।
শরীরে তাপমাত্রার সমস্যা: বাড়ি থেকে হঠাৎ যদি চড়া রোদে বাইরে যান তাহলেই তৈরি হবে সমস্যা। আপনার শরীর হুট করেই বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে না। তাতেই জ্বর, ঠা-ালাগা, মাথাধরার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এ জন্য প্রটেকশন নিয়ে তারপর বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করুন।