আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, হেফাজতের সাথে সম্পৃক্ত তো আপনারা। আপনারা বসে, প্রধানমন্ত্রীর বাসায় বসে মিটিং করে তাদের (হেফাজতে ইসলাম) সঙ্গে চুক্তি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে কওমি মাতা হিসেবে উপাধি দেয়া হয়েছে। আমরা হেফাজতের সাথে সম্পৃক্ত হলাম, নাকি আপনারা? গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির উদ্যোগে ‘করানো মোকাবিলায় স্থানীয় সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গত কয়েকদিনে বিএনপির কয়েক হাজার নেতা কর্মীদের গ্রেপ্তার করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল। সরকার ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, গত ২৬ মার্চের পর থেকে কয়েকদিনে বোধ হয় কয়েক হাজার গ্রেপ্তার করে ফেলেছে। শুনলে অবাক হবেন চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকায় বিএনপির কর্মীরা রাতে বাসায় থাকতে পারে না। ব্লক রেইড করছে। কেরানীগঞ্জে ব্লক রেইড করে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। কিছু বলতে গেলেই তারা বলে যে হেফাজতের সাথে সম্পৃক্ত আছে।
করোনা মোকাবিলায় সরকার ব্যর্থ উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, টিকা প্রথমবার যারা নিয়েছেন, দ্বিতীয়বার সবাই টিকা পাবেন কিনা- তা আমি জানি না। কারণ যা শুনতে পাচ্ছি, ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দিচ্ছে। একজন কিছুদিন আগে বলেছেন যে, একটামাত্র দেশের উপরে এই যে নির্ভর করে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা- এটাও তো একটা ক্রিমিনাল ও ফেন্স। তিনি বলেন, একটা সরকার চালাতে হলে অনেক পথ খোলা রাখতে হবে। আপনি চীনকে বলে দিলেন যে, না তোমার এটা আমার দরকার নেই, ফেরত দিয়ে দিলেন! সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা ভারত থেকে ভ্যাকসিন নেয়া শুরু করলেন, তাও আবার অনেক বেশি দামে। তাও ব্যক্তি মালিকানায় একজন ব্যবসায়ীর হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তার কাছ থেকে এই ভ্যাকসিন আপনি নিচ্ছেন। এটা গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট নেয়া যেতো। অন্যান্য দেশগুলো নিচ্ছে।
জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রবের সভায় সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজমুদার, জেএসডির কার্যকরী সভাপতি মো. সিরাজ মিয়া, আকম আনিসুর রহমান খান কামাল, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।