মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

খরতাপে ঝরে পড়ছে আম

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১

মাত্র ক’দিন আগে গাছ ভরা মুকুলে গুটি গুটি আম দেখে স্বপ্ন বাঁধেন আম চাষিরা। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে গাছের তলায় মাটিতে ঝরে পড়ছে সে আমের গুটি। গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। ধামইরহাট উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চোখে পড়ে ছোট-বড় নানান জাতের আমের বাগান। শুধু তাই নয় রাস্তার আশে পাশে পুকুর পাড়সহ বাড়ির আঙিনায় শোভা পাচ্ছে সুস্বাদু জাতের আমের গাছ। গতবছর ঝড় আমফানের পর বেশ কয়েক মাস হয়ে গেল এ অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা নেই। বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাপদাহ বেড়েই চলেছে। অথচ প্রকৃতিতে এখন ভরা বৈশাখ মাস। এ মাসে মেঘের ভেলায় কমবেশি ঝড়-বৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় বৈশাখের খরতাপে পুড়ছে গাছের আম। শুরুর দিকে এ অঞ্চলে আম গাছের ডালে মুকুলে ছয়ে যায়। এমনও দেখা গেছে মুকুলের ভারে অসংখ্য আমের ডাল নুয়ে পড়ে মাটিতে। অতঃপর গুটি গুটি আমে ছেয়ে যায় পুরো গাছ। তা দেখে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন এ এলাকার আম চাষিরা। এভাবে আম ঝরে পড়তে দেখে আম চাষিদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। আম চাষি শিবলী সরকার জানান, তার ১৫ বিঘার মুকুল ভর্তি আমের বাগানে গুটি গুটি আমে ছেয়ে ছিলো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় ঝরে পড়ছে তার বাগানের আম। গুটি গুটি আমগুলো রক্ষার জন্য এই মুহূর্তে বৃষ্টি ভীষণ প্রয়োজন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধামইরহাট উপজেলায় ছোট বড়ো প্রায় ১শ ১০টি আমের বাগান রয়েছে। শুরুতে ভালো আবহাওয়া থাকায় আমের মুকুলে পোকা হয়নি পচনও ধরেনি। তাতে গাছ ভর্তি গুটি গুটি আম ধরেছিলো। সম্প্রতি রুক্ষ আবহাওয়ার সঙ্গে তাপদাহ বেড়ে যাওয়ায় গাছ থেকে আম ঝরে পড়ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো.আসাদুজ্জামান বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমের সঠিক পরিচর্চার জন্য আমরা প্রতিদিন আম চাষিদের বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। যেমন গাছে ফল ধরার ১৫ দিন পর পর পানির সেচ দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও আম মটরদানা ও মার্বেল পর্যায়ে হলে প্রতি লিটার পানিতে ২০ গ্রাম ইউরিয়া ২ গ্রাম বরিক এসিড স্প্রে করতে হবে। এতে আম চাষিরা ভালো ফলন পাবেন। এ বছর ধামইরহাট উপজেলায় আম চাষে লক্ষ্যমাত্রা ৬শ ৭৫ হেক্টর বলে জানান তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com