বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
তীব্র গরমে কালীগঞ্জে বেঁকে গেছে রেললাইন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক মেলান্দহ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী দিদার পাশা জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার উদ্যোগে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ অভিবাসী কর্মীদের পুনঃএকত্রীকরণে কর্মশালা রায়পুরায় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা ঘোষণা আলী আহমেদের কমলগঞ্জের মিরতিংগা চা বাগানে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত পলাশবাড়ীতে প্রচন্ড গরমে ঢোল ভাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে তরমুজ বিতরণ জুড়ীতে টিলাবাড়ি ক্রয় করে প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ আনারসের পাতার আঁশ থেকে সিল্ক কাপড় তৈরির শিল্পকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে-সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি রাউজানে পথচারীদের মাঝে যুবলীগের ফলমূল ও ছাতা বিতরণ

পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া হিন্দুত্ববাদ থামিয়ে ফের ক্ষমতায় তৃণমূল!

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২ মে, ২০২১

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর অহংকারকে চূর্ণ করে আপাতত গেরুয়া হিন্দুত্ববাদ থামিয়ে দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভোটার। সে রাজ্যে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল।
ভারতে এই দফায় পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হলেও প্রায় সবার নজর ছিল পশ্চিমবঙ্গে। বুথ ফেরত জরিপের মতো রোববার শুরুর ভোট গণনায়ও ছিল তৃণমূল ও বিজেপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত। তবে ভোটের গণনা বাড়তেই বিজেপির সঙ্গে ব্যবধান বাড়াচ্ছে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল। অবশ্য তিনি নিজে পিছিয়ে নন্দীগ্রাম আসনে। গতকাল রোববার দুপুরে এই সময়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৯২ আসনের মধ্যে ২০৬ টিতে এগিয়ে আছে তৃণমূল। ২৯৪ আসনের বিধানসভায় জয়ের জন্যও দরকার ১৪৮টি আসন। বিজেপি এগিয়ে আছে ৮৫ আসনে। আনন্দবাজারের দেওয়া তথ্য মতে, ২০৬টি আসনে এগিয়ে আছে মমতার তৃণমূল। বিজেপি এগিয়ে আছে ৮৩ আসনে। এনডিটিভির প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, তৃণমূল এগিয়ে আছে ২০৪টি আসনে। বিজেপি এগিয়ে ৮৫ আসনে। বিধানসভা নির্বাচনে মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৪৮টিতে জয় পেলে নিশ্চিত হবে মসনদ। অবশ্য প্রার্থী মারা যাওয়ার কারণে ২টি আসনে নির্বাচন পিছিয়েছে। ১০ বছর আগে বামদুর্গ ভেঙে এ রাজ্যে ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬ সালেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোটের উত্থান হয়।
তৃণমূল ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে পেয়েছিল ২১১টি আসন। কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট পেয়েছিল যথাক্রমে ৪৪ ও ৩২টি আসন। বিজেপি’র ঝুলিতে ছিল মাত্র ৩টি। অন্যান্যরা পেয়েছিল ৪টি আসন। তবে ছবিটা বদলে যায় ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে। এই নির্বাচনে বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, রাজ্যে ১৬৪টি আসনে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। এক ধাক্কায় ১২১টি আসনে এগিয়ে যায় বিজেপি। অন্য দিকে কংগ্রেস এগিয়েছিল ৯টি আসনে। বামফ্রন্ট ও অন্যান্যরা একটিও আসন পায়নি। ভারতে এই দফায় পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচন হচ্ছে। আসাম আর পদুচেরিতে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বিজেপি। কেরালায় টানা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বামজোট। আর তামিলনাড়ুতে জয়ের পথে ডিএমকে-কংগ্রেস জোট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে প্রকাশ,গণনার শুরুটা হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিয়ে। তবে ছক ভেঙে পোস্টাল ব্যালটেই তৃণমূলের এগিয়ে থাকার প্রবণতা শুরু থেকেই দেখা গিয়েছিল। বেলা বাড়তেই এগিয়ে থাকার নিরিখে ব্যবধান বাড়াতে থাকে তৃণমূল। দুপুর ১২টা বাজতেই বাংলার ভোট কাঙ্খিত লক্য ছুঁয়ে ফেলে তৃণমূল কংগ্রেস। ট্রেন্ডের নিরিখে ২০০-র বেশি আসনে এগিয়ে যায় তৃণমূল। সরকার গড়ার স্বপ্ন তো দূর, ১০০-র বেশ কিছুটা আগেই থমকে যাওয়ার পথে বিজেপি। পর্যুদস্ত বাম-কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর জোট সংযুক্ত মোর্চা। তবে, একুশের ভোটের নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রামে পিছিয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ষষ্ঠ রাউন্ডের শেষেও সেখানে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও মমতার দ্বিতীয় মন্ত্রিসভার বেশিভারভাগ মন্ত্রীরাই ভোটে গণনায় এগিয়ে রয়েছেন। বিপুল ভোটে জয়ের পথে কসবার তৃণমূল প্রার্থী জাভেদ খান। ভালো ব্যবধানে এগিয়ে সুব্রত মুখপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, মন্টুরাম পাখিরা, শশী পাঁজারা। ভবানীপুরে পিছিয়ে বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষ। এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সুজন চট্টোপাধ্যায়কে ছাপিয়ে যাদবপুরে এগিয়ে তৃণমূলের দেবব্রত মজুমদার।
দেশের একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত ছিলই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় মোট ২৯৪টি আসনের মধ্যে ম্যাজিক ফিগার (১৪৮ আসন) পেতে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এবিপি আনন্দ সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী তৃণমূল পেতে পারে ১৫২ থেকে ১৬৪টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ১০৯ থেকে ১২১টি আসন। জোট পেতে পারে ১৪ থেকে ২৫টি আসন। জি নিউজের সমীক্ষায় বিজেপি পেতে পারে ১৪৪টি আসন, তৃণমূল ১৩২টি আসন, জোট পেতে পারে ১৫টি আসন। আবার ইন্ডিয়া টুডের সমীক্ষাতেও জোর লড়াইয়ের ইঙ্গিত। বিজেপি ১৩৪ থেকে ১৬০টি, তৃণমূল পেতে পারে ১৩০ থেকে ১৫৬টি আসন, এমনই ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
আসামে আবারো জয়ের পথে বিজেপি, তামিলনাড়ু ও কেরেলায় এলডিএফ: ভারতে রবিবার (২ মে) মোট পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। এর মধ্যে আসামে এনআরসি-কা-ের পরও আসামে আবারও ক্ষমতা দখলের পথে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন বিজেপি। ইতিমধ্যে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যমতে, রাজ্যটির মোট ১২৬টি আসনের মধ্যে ৮৪টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এ খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে মোট ৬৪টি আসনে জয় পেতে হবে। তবে ইতিমধ্যে ৮৪টিতে এগিয়ে থেকে জয় একপ্রকার নিশ্চিত করে ফেলেছে বিজেপি। রাজ্যটিতে ৪১টি আসনে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস। এ ছাড়া অন্যান্যরা ১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তবে চূড়ান্ত ফলাফল পেতে আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। অন্যদিকে, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু ও কেরেলায় বিজেপির কোনো আধিক্য নেই। এর মধ্যে কেরালায় জয়ের পথে বামপন্থী এলডিএফ। তারা সর্বোচ্চ ৮৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেস এগিয়ে আছে ৫০টিতে। আর বিজেপি এগিয়ে আছে মাত্র ৪টি আসনে। রাজ্যটিতে মোট আসন ১৪০টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে প্রয়োজন ৭১টি আসন। তামিলনাড়ুতে স্থানীয় দল ডিএমকে সর্বোচ্চ ১৩৭টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এডিএমকে এগিয়ে আছে ৯৫টি আসনে। রাজ্যটিতে মোট আসন ২৩৪টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে প্রয়োজন ১১৮টি আসন। গত ৪০ বছরের রেকর্ড ভেঙে কেরালায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন বামজোট। ১৪০ আসনের মধ্যে তারা এগিয়ে ৭৯টি আসনে। জয়ের জন্য দরকার ৭১টি আসন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেস ৫৬ আসনে এগিয়ে আছে। তামিলনাড়ুতে এগিয়ে আছে ডিএমকে-কংগ্রেস জোট। তারা ৯৫টি আসনে এগিয়ে আছে। জয়ের জন্য দরকার ২৩৪ আসনের মধ্যে ১১৮টি। বিজেপি জোট এগিয়ে আছে ৭৯টি আসনে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com