শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে-প্রভাষক বশির উদ্দিন স্বৈরাশাসকদের মত সরকারের কিছু উপদেষ্টা ভোগবিলাসে লিপ্ত-টঙ্গীবাড়ীতে ড. আসাদুজ্জামান রিপন লালমোহনে আধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন গঙ্গাচড়ায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের অভিযানে কবরস্থান থেকে পরিত্যক্ত অস্ত্র উদ্ধার চকরিয়া গ্রামার স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও একাডেমিক মেধা পুরস্কার বিতরণ রায়গঞ্জে তারুণ্যের উৎসবে শোভাযাত্রা চকরিয়া গ্রামার স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও একাডেমিক মেধা পুরস্কার বিতরণ আলীকদম সেনা জোনের উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা প্রদান ছাত্রদলরে র্মাচ ফর জাস্টসি ছাত্রলীগরে বচিার দাবতিে স্মারকলপিি প্রদান

মোদির অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৯ মে, ২০২১

ভারতের কোভিড সংকটের জন্য এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কাঠগড়ায় তুলল আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিকেল জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’।
কোনো রকম রাখঢাক না রেখেই গত শনিবার এই জার্নালের সম্পাদকীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদির সরকারই দেশে কোভিড বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। দ্য ল্যানসেট বলেছে, এক এক সময় মনে হয়েছে, মোদি সরকার মহামারির মোকাবিলার চেয়ে টুইটারের সমালোচনা মুছতে বেশি ব্যস্ত।
কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গের মোকাবিলায় ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের সমালোচনায় পশ্চিমা সংবাদমাধ্যম ইদানীং সরব। প্রধানমন্ত্রী মোদি সমালোচনাবিদ্ধ হওয়ায় সরকার ক্ষোভও প্রকাশ করেছে। বিদেশি প্রচারমাধ্যমের সমালোচনা অন্যায্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে সরকার পাল্টা জবাব দিয়েছে। কিন্তু দ্য ল্যানসেট–এর কড়া সমালোচনার বিরুদ্ধে সরকার এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
দ্য ল্যানসেট লিখেছে, বহুবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সরকার ধর্মীয় উৎসব (কুম্ভ মেলা) পালন ও রাজনৈতিক সভার (পাঁচ রাজ্যের ভোটে প্রচার) মতো অতি সংক্রামক অনুষ্ঠান হতে দিয়েছে, যা সুপার স্প্রেডারের কাজ করেছে।
তারা বলেছে, মোদি সমালোচকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করেছেন। খোলামনে আলোচনাও করতে চাননি। পরামর্শ নেননি। এই অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য।
জানুয়ারির শেষাশেষি প্রধানমন্ত্রী মোদি দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের সম্মেলনে অংশ নিয়ে ভারতের কোভিড জয়ের কাহিনি সাতকাহন করে মেলে ধরেছিলেন। মার্চ মাসের শুরুতে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা হর্ষবর্ধন ঘোষণা করেছিলেন, কোভিডের খেলা শেষ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সেই ঘোষণা এবং দ্য ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন–এর অনুমান উল্লেখ করে ‘দ্য ল্যানসেট’ সম্পাদকীয়তে লিখেছে, ১ আগস্টের মধ্যে দেশে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ১০ লাখ ছুঁতে পারে। এই আশঙ্কা সত্য হলে নিজের তৈরি সংকটের জন্য মোদি সরকারই দায়ী থাকবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন গত শনিবার সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ভারতে সংক্রমণের যে রকমফের দেখা যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে এটা অতি দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনার একটা ধরন। কোভিডের অতি সংক্রামক এই ধরনটি ‘বি.১.৬১৭’ নামে পরিচিত, যা গত অক্টোবরে প্রথম ধরা পড়ে।
ভারতে এখন ৪ লাখের বেশি মানুষ নতুন করে প্রতিদিন সংক্রমিত হচ্ছেন। প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন ৪ হাজারের বেশি মানুষ। গত চার দিন ধরে এই মৃত্যুর মিছিল অব্যাহত। অথচ এখনো প্রধানমন্ত্রী মোদি একবারের জন্যও সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেননি। রাজ্যে রাজ্যে অক্সিজেন ও হাসপাতালের বেডের চাহিদা বেড়ে চলেছে। অক্সিজেনের অভাবে সারা দেশে হাহাকার। এই অবস্থায় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আস্থা না রেখে গত শনিবার অক্সিজেনের বিলিবণ্টন ও বরাদ্দ ঠিক করতে ১২ বিশেষজ্ঞের এক টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। অক্সিজেন ছাড়াও কোভিডের চিকিৎসায় জরুরি ওষুধের জোগান কীভাবে নিশ্চিত করা যায়, ওই বিশেষজ্ঞেরা তা ঠিক করে দেবেন। ভবিষ্যতের প্রস্তুতির রূপরেখা তৈরির দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে ওই টাস্কফোর্সকে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com