যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের অনুমতির দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল অঞ্চল। মঙ্গলবার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১ টায় বরিশাল নৌ বন্দরে এই কর্মসূচি পালন করেন। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল অঞ্চলের সভাপতি শেখ আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাস্টার নজরুল ইসলাম, কবির হোসেন, আক্তার হোসেন, একিন আলী, আসাদুজ্জামান প্রমূখ। বিক্ষোভ পূর্ববর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঈদে শ্রমিকদের এক কেজি সেমাইও কিনে দেননি লঞ্চ মালিকরা। লঞ্চ চলাচল না করায় অত্যান্ত মানবেতর জীবন যাপন করছে শ্রমিকরা। বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে লঞ্চের ওপর আরোপিত লকডাউন তুলে না নিলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে। শ্রমিক নেতারা বলেন, আমরা চাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়া হোক। যাতে করে লঞ্চ শ্রমিকরা দুবেলা খেয়ে বাঁচতে পারে। সভাপতি শেখ আবুল হাশেম বলেন, লঞ্চমালিকরা যদি শ্রমিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ না করে, সরকার যদি আমাদের দাবি মেনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরও লঞ্চ চলাচলের অনুমতি না দেয় তাহলে আমরা পন্যবাহী নৌযান অবরোধের ডাক আসতে পারে। এই শ্রমিক নেতা বলেন, লঞ্চ মালিকরা কখনোই শ্রমিকদের হয়ে কথা বলবেন না, কারন তারা সরকার দলীয় লোক। অথচ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাহজাহান খান শ্রমিকদের জন্য আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। এখন বাস সিমিত পরিসরে হলেও চলছে। অথচ লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি এসপি মাহাবুব উদ্দিন বীর বিক্রম, বরিশালের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু শ্রমিকদের পক্ষে কোন কথা বলছেন না। মাস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচির ডাক দিব। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা আর অল্প কিছুদিন অপেক্ষা করবো। আমরাতো বলছি সরকারি সকল নির্দেশনা মেনে লঞ্চ চালাবো। এরপরও অনুমতি না পেলে পন্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা চাই সরকারকে সহায়তা করতে। একই সাথে কাজ করে আমাদের জীবন বাচিয়ে রাখতে। সমাবেশ শেষে নদী বন্দরে বিক্ষোভ নিয়ে প্রদক্ষিণ করে নেতৃবৃন্দ।