শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ পূর্বাহ্ন

যশোরের শার্শায় নির্মাণের ৮ বছরেও চালু হয়নি গোড়পাড়া মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতাল

শার্শা প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১

নির্মাণের ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত চালু হয়নি যশোরের শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া বাজারস্থ ৫ কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হওয়া গোড়পাড়া ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতালটি। হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেও কারণহীন কোন এক অদৃশ্য কারণে দীর্ঘ ৮ বছরেও চালু হয়নি এ হাসপাতালটি। এতে করে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ডিহি, লক্ষণপুর, নিজামপুর ইউনিয়নসহ উত্তর শার্শাবাসী। গর্ভবতী মা ও শিশুদের সুরক্ষায় রাষ্ট্রিয় অর্থ ব্যয়ে নির্মাণ করা এ হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের শার্শা অথবা যশোর হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনেক সময় দূর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়। এমনকি অনেক সময় অনেক গর্ভবতী মা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। হাসপাতাল আছে কিন্তু সেবা নাই। কবে থেকে এলাকার মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে তারও কোন ঠিক নাই। এদিকে হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। ময়লা আর্বজনায় ভরে গেছে হাসপাতাল চত্বর। আর এই সুযোগে এলাকার অনেক মাদক সেবিরা তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে দেধাচ্ছে। স্থানীয় অনেকে বলেন, মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণের কথা শুনে অনেক আনন্দে স্বপ্ন বেঁধেছিলাম কাজ শেষ হলে চিকিৎসা সেবা নিতে দুরে যেতে হবে না। হাতের কাছেই চিকিৎসা সেবা পাব। কিন্তু নির্মাণের আট বছরে যে হাসপাতাল এলাকার মানুষের চিকিৎসা সেবার আলোর মুখ দেখাতে পারেনি সেখানে স্বপ্ন দেখাটাই অনর্থক। বরং এখন এই হাসপাতাল এলাকার মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় হাসপাতালটি পড়ে থাকাতে হাসপাতালটি এখন এলাকার মাদক সেবিদের আশ্রয় কেন্দ্র হয়ে সমাজ ও সমাজের মেধাবী যুব সমাজ নষ্টের অভিশাপ হয়ে দাড়িয়েছে। অনেকে বলেন, হাসপাতাল থাকার পরেও চিকিৎসা সেবা নিতে যেতে হয় বহুদুরে। তাহলে আমাদের এখানে হাসপাতাল থেকে লাভ কি? অসুস্থ রোগীদের এই হাসপাতালের সামনে দিয়ে বিভিন্ন যানবহনে করে শহরে নিয়ে যায়, এটা আমাদের জন্য দুঃখ জনক! আমরা চাই দ্রুত হাসপাতালটি চালু করা হোক। সাত আট বছর ধরে এই হাসপাতালটি বন্ধ আছে। যার কারণে মাদকসেবনকারীরা হাসপাতালে ভিতরে মাদকসেবন করে। হাসপাতালটি চালু করলে আর মাদকসেবনকারীরা আড্ডা দিতে পারবে না। যশোর সিভিল সার্জেন ডাঃ শেখ আবু শাহীন বলেন, শার্শার গোড়পাড়ায় ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতালটি নির্মাণ হয়েছিল স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে। আমরা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কাছে হাসপাতালটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোড়পাড়া ১০ বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতাল নির্মাণ কাজ দীর্ঘদির পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম চালু না হওয়ায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার স্বল্প অয়ের সাধারণ মানুষ। সেই সাথে হাসপাতালের অব্যবহারিত মূল্যবান সরাঞ্জাম নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘদিন অযতেœ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থেকে বিল্ডিংয়ের কয়েক জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। সেই সাথে ময়লা আবর্জনার স্তুভ হয়ে আছে। এমতাবস্থায় দ্রুত হাসপাতালটি চালু করে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com