ঢাকার ধামরাইয়ে এক স্কুলছাত্রী অপহরণ করে সিএনজিযোগে পালানোকালে পুলিশ চেকপোষ্টে সহযোগীসহ মূল অপহরণকারিকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। বুধবার দিনগত রাতে এ আটকের ঘটনাটি ঘটেছে কালামপুর-কাওয়ারীপাড়া-মির্জাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বাটুলিয়া এলাকায়। এব্যাপারে ধামরাই থানায় অপহরণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ধারার জবানবন্ধি রেকর্ডের জন্য ওই ভিকটিমকে ঢাকাস্থ ধামরাই জুঢিশিয়াল ম্যাজেষ্ট্রেট কোর্ট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ধামরাই থানা পুলিশি বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের পাঁচলক্ষি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আনোয়ার হোসেনের মেয়ে ও স্থানীয় আমতা হরলাল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ইতি আক্তার রাত অনুমান ২টার দিকে পরিবারের অপরাপর সদস্যদের সঙ্গে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়। এসময় ঘরের পেছনে পূর্ব তেকে ওঁৎ পেতে থাকা পাশের আমতা ইউনিয়নের জেঠাইল গ্রামের বাসিন্দা মোঃ ফজলুল হকের বখাটে ছেলে শরীফুল ইসলাম শরীফ তার সঙ্গীয়দের সহায়তায় ওই স্কুলছাত্রীকে মুখ বেধে রাতের অধারে অপহরণ করে। তাদের ডাকচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসেও তাকে রক্ষা করতে পারেনি। অপহরণকারিরা একটি সিএনজিযোগে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে পরিবারের লোকজন রাতেই ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় সিএনজিটি কালামপুর-কাওয়ালীপাড়া-মির্জাপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের বাটুলিয়া নামক স্থানে পুলিশ চেকপোষ্টে পৌঁছলে পুলিশের হাতে আটক হয় ওই অপহরণকারিরা। এসময় ডিউটিরত ধামরাই থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ নজরুল ইসলাম তাদেরকে আটক করেন। আটককৃতরা হল, অপহরণকারিদের মূলহোতা শরীফুল ইসলাম শরীফ, সহযোগী গুমগ্রাম এলাকার মোঃ বাবুল হোসেনের ছেলে মোঃ রনি মিয়া, চৌহাট চড়পাড়া এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে মোঃ সাকিব হোসেন। পরে তাদেরকে ধামরাই থানায় নেয়া হয়। এব্যাপারে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ধামরাই থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে ওই অপহরণকারিদের বিরুদ্ধে। অপহৃত ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ধারার জবানবন্ধি রেকর্ডের জন্য ওই ভিকমিকে আদালত ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পুরিশের হাতে আটক ওই অপহরণকারিদেরও আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, আঞ্চলিক মহাসড়কের বাটুলিয়া পুলিশ চেকপোষ্টে নাইট উিউটি করাকালে অপহরণকারিদের বহণকৃত ওই সিএনজির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে সিএনজিটি থামাই। এরপর সিএনজির ভিতরে মুখবাঁধাবস্থাায় এক কিশোরীকে দেখতে পাই। এতে আরও সন্দেহের মাত্রা বেড়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে ওরা জানায়, মেয়েটি মানসিক রোগী তাই তাকে মুখ বেঁধে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। একপর্যায়ে অপহরণকারিরা অপহরণের কথা স্বীকার করলে তাদেরকে থানায় আনা হয়। এব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা ও ২২ ধারার জবানবন্ধির জন্য ভিকটিমকে হাসপাতালে ও আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে অপহরণকারিদেরও আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।