বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

আয় ও সম্পদ বেড়েছে দুজনেরই

খবরপত্র ডেস্ক :
  • আপডেট সময় শনিবার, ৭ জুলাই, ২০১৮

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন পাঁচ বছর আগে চড়তেন ২ লাখ টাকার গাড়িতে। এখন চড়ছেন ৩৬ লাখ টাকার গাড়িতে। বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের গাড়ি নেই। তবে গত পাঁচ বছরে তাঁর বার্ষিক আয় বেড়েছে ১৬ গুণের বেশি। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে যাঁরা মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছিলেন এবারও তাঁরাই প্রার্থী। ওই নির্বাচনে খায়রুজ্জামান হেরে যান মোসাদ্দেক হোসেনের কাছে।

হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সদ্য বিদায়ী মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন ২০১৩ সালের হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন, তাঁর একমাত্র আয়ের উৎস মৎস্য চাষ এবং বার্ষিক আয় ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা। তখন তাঁর অস্থাবর সম্পদের অংশে হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৫ টাকা। আর স্ত্রীর নামে নগদ টাকা দেখানো ছিল ৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।

মোসাদ্দেক হোসেন এবার বার্ষিক আয় উল্লেখ করেছেন ৩১ লাখ ৭ হাজার ২৬০ টাকা, যা গত নির্বাচনের সময়ের মোট আয়ের চেয়ে ১৬ দশমিক ১৮ গুণ। তাঁর হাতে নগদ টাকার পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৪২ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৮ টাকা। আর স্ত্রীর নামে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা। এবার তাঁর তিনটি আয়ের খাত—শেয়ার, মেয়রের সম্মানী ভাতা ও মৎস্য চাষ। গতবার দুটি ব্যাংকে ঋণ ছিল ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৭৭৪ টাকা। এবার কোনো দেনা নেই। তাঁর নামে বিস্ফোরকদ্রব্য ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটটি মামলা বিচারাধীন।

বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মেয়র হিসেবে সম্মানী পাওয়ার কারণে তাঁর আয় বেশি মনে হচ্ছে। মেয়র নির্বাচিত না হলে তাঁর আয়ের পরিমাণ অতটা হতো না। আর ব্যবসা থেকে কিছু আয় বাড়তেই পারে। এটা স্বাভাবিক।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com