সম্প্রতি নেত্রকোনার বিজ্ঞ আমলী আদালতে কলমাকান্দায় ফিসারি মাছ চুরি’র মামলা দায়ের করেছেন মো. আব্দুল মমিন নামে এক ব্যক্তি। বিবাদীরা হচ্ছেন একই গ্রামে সহোদর চার ভাই হাবিবুর রহমান,শামছু, আমিনুল ও মজিবুর। ওই মামলা দায়েরের খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের মৌজে পোগলায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মামলার বিবরণীতে ঘটনাস্থল সদ্য কেটে নেয়া বোরো ফসলের ধানক্ষেত! ধান কেটে নেওয়ার পর এখন আবারও ডেমী ধান হতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন সময়ে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের কাছে বলেন, উপজেলার মৌজে পোগলা গ্রামের মো. আব্দুল মমিন বাদী হয়ে নেত্রকোনার আদালতে একই গ্রামে সহোদর চার ভাই হাবিবুর রহমান, শামছু, আমিনুল ও মজিবুরের নামে যে ঘটনাস্থল দেখিয়ে খনা জাল দ্বারা ফিসারি মাছ চুরি ঘটনার মামলা করেছেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সংযোগের বাড়তি টাকা না দেওয়ায় জের ধরে মমিন বাদী হয়ে সহোদর ভাইদের নামে একটি মিথ্যা চুরি মামলা করেছেন। ওই ঘটনাস্থল থেকে মুমিন তার বোরো ফসল কেটে নিয়েছেন। ধান কেটে নেওয়ার পর এখন আবারও ধেমী ধান হতে দেখা গেছে। বাস্তবে এটি ধানক্ষেত। তবে ধানক্ষেতটি পুকুরে আদলে থাকায় পুরো বর্ষাকালে জংলী মাছ ঢুকে থাকে। বিভিন্ন জাতের পোনা ছেড়ে মাছ চাষ করার বিষয়টি স্থানীয়রা ভিত্তিহীন বলেছেন । এসময় এলাকার স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিন মন্ডলসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ওই মামলার ১নং বিবাদী হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সংযোগের বাড়তি টাকা না দেওয়ায় জের ধরে মমিন বাদী হয়ে আমাকেসহ ভাইদের নামে একটি মিথ্যা চুরি মামলা করেছেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমিসহ ৪ জন নেত্রকোণা আদালতে আত্মসমর্পন করবো। আশা করছি আমরা বিজ্ঞ আদালতে ন্যায় বিচার পাবো। এবিষয়ে মামলার বাদী মো. আব্দুল মুমিনের মুঠোফোনে (০১৭২৪-৪১৭৬৩৪) একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।