সুন্দরবন থেকে বাঘের আক্রমনের শিকার হওয়া একটি মায়া হরিন (বার্গিন ডিয়ার) লোকালয় থেকে উদ্ধার করছে বন বিভাগ। ১০ জুন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের বৈদ্যমারি বাজার সংলগ্ন দুলালের বাড়ি থেকে বাঘের আক্রমণের শিকার হওয়া আহত হরিণ উদ্ধার করা হয়। বন রক্ষীরা নিবির পর্যবেক্ষন ও প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবার বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। আহত হরিনটি মোংলা উপজেলা চিলা ইউনিয়নের বৈদ্যমারী বাজার সংলগ্ন দুলালের বাড়ির পাশের বাগানে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছিল। এসময় দুলাল হঠাৎ ঘর থেকে বাগানের দিকে তাকালে একটি গাছের পাশে হরিনটি দেখে বনবিভাগ এবং বন্যপ্রানী সংরক্ষন ও উদ্ধার কাজে সহায়তাকারী ওয়াইল্ডটিমের সদস্যদের খবর দেয় বাড়ীর মালিক দুলাল। সকাল ৯টার দিকে সেখান থেকে হরিনটিকে উদ্ধার করে চাদঁপাই ফরেষ্ট অফিসে নিয়ে আসের রেঞ্জ ও ষ্টেশন কর্মকর্তাসহ বন রক্ষীরা। ফরেষ্ট অফিসেই উদ্ধারকুত আহত হরিণটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ্য করে তোলেন পুর্ব সুন্দরবনের চাদঁপাই রেঞ্জ’র বন্যপ্রানী বিশেষাজ্ঞ কয়েকজন বনরক্ষী। দুপুরের দিকে উদ্ধারকৃত হরিনটিকে করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রের বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। চাদপাই রেঞ্জ’র বন রক্ষী মিজানুর রহমান জানায়, সকালে খবর পেয়ে বন্যপ্রানী সংরক্ষন টিমের সদস্যদের নিয়ে বৈদ্যমারী বাজার সংলগ্ন এলাকার দুলালের বাড়ীর পাশ থেকে আহত অবস্থায় একটি পুর্ণ বয়স্ক হরিন উদ্ধার করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে, ৪/৫ দিন পুর্বে হরিনটিকে বাঘে আক্রমন করেছিল। গায়ে বাঘের নখ ও দাতের আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। আঘাতের জায়গায় রক্ত ক্ষরন হয়ে কিছুটা পোকায়ও আক্রমন করেছে। উদ্ধারের পর দ্রুত হরিনটিকে প্রাথকি চিকিৎসা দিয়ে কিছু সময় তাকে নিবির পর্যবেক্ষনে রাখা হয়। চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য করে পুনরায় করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্রের পাশে বনের গহিনে হরিনটিকে অবমুক্ত করা হয়েছে। হরিণটিকে উদ্ধার ও অবমুক্ত কাজে বন বিভাগের সহযোগীতায় ওয়াইল্ডটিম প্রতিনিধি মোঃ সাইফুল ইসলাম, সোহেল হাওলাদার, (ভিটিআরটি) মোস্তফা মৃধা, সিপিজি মোঃ মাসুদ শেখসহ চাঁদপাই রেঞ্জ বন বিভাগের ষ্টেশন কর্মকর্তা ওবায়দুল হক, মিজানুর রহমান সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।