কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও সরকার দলীয় নৌকা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী আলমগীর চৌধুরী ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামীলীগ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেফতার চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে আওয়ামীলীগ ও নৌকা সমর্থকরা। বুধবার ৯ জুন/২১, বিকাল সন্ধ্যায় পৌরসভার গ্রামীন ব্যাংক চত্বরস্থ নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানটি বিশাল নেতা ও কর্মিদের সমাবেশে পরিণত হয়। এ সময় আওয়ামীলীগ নেতাদের হামলার জন্য (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের এমপি জাফর আলম, পৌর আওয়ামীলীগের সদ্য অব্যহতি পাওয়া সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু ও এমপির দেহরক্ষী পরিচয়দানকারী কথিত অনুপ্রবেশকারী যুবলীগ নেতা হাসানুল ইসলাম আদরকে দায়ী করা হয়। মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে পৌরসভার প্রধান গেইট চিংড়ি চত্বর এলাকায় সাংসদ ও তার লোকজন এ হামলা ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবী করেন মেয়র আওয়ামীলীগ চৌধুরী সহ আহত নেতা-কর্মীরা। সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, এমপির ভাতিজা স্বতন্ত্র প্রাথী জিয়াবুল হকের পক্ষে নেতাকর্মীকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য লিটু ও আদরের নেতৃত্বে একটি অবৈধ অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে বেশ কটি গাড়ি বহরে বিভিন্ন স্থানে ভোটার ও নেতাকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজসহ হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচন বানচাল করতে এমপি জাফর আলম গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ হামলার ঘটনাটি ঘটায়। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের কাছে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গ করে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে জাফর আলম এমপি তার ভাতিজা স্বতন্ত্র প্রাথীর পক্ষে নগ্ন ভাবে অবস্থান নিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের হুমকি ধমকি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করায় ওই এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানানো হয় সম্মেলনে। চকরিযা উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, দলীয় মেয়র প্রাথী ও বর্তমান মেয়র আলমগীরের টাকায় এমপি জাফর আলম বিয়ে করেছেন। বিভিন্ন মামলা পরিচালনায় তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসার চালিয়েছেন।আজকে তার উপর দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা করছেন। এ হামলার জবাব দিতে সবাইকে ঐক্য বদ্ধ হয়ে নৌকা প্রতীককে ভোট দিয়ে আগামী ২১ জুন বিপুল ভোটে জয়ী করতে হবে। উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছরওয়ার আলম বলেন, বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করার সময় এক শতক বাড়ি ভিটা ও ছিলনা অথচ আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করার পর বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন বর্তমান সাংসদ। বর্তমানে তার ইশারায় ভূমিদখল, বালি বানিজ্য, পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি, গরু-মহিষ চুরিসহ এমন কোন কাজ বাকি নেই যা হচ্ছে না। কিছু সন্ত্রাসীদের হাতে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে তিনি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছেন। দলের জন্য কিছু না করলেও তিনি নিজে ও পরিবার পরিজন বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। নেতৃবৃন্ধরা এ সময় আলমগীর চৌধুরী ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামীলীগ নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন। চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোসলেম উদ্দিন মানিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে আরো বক্তব্য রাখেন চকরিয়া আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন জয়নাল, পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেক লীগের সভাপতি ও পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রাথী শওকত হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা সেকান্দর বাদশা নাগু সওদাগর, জমির উদ্দিনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় দলের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।