মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
পটিয়ায় থামানো যাচ্ছে না মাটি কাটা নান্দাইলে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এড. কাজী আরমান কটিয়াদীতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি, বোরো ধান রোপন নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা ভালুকায় জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও তারুণ্য উৎসব টঙ্গীতে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন লামা অবৈধ ৪ ইট ভাটায় যৌথ অভিযান : ১১ লাখ টাকা জরিমানা পাখির কিচির-মিচিরে মুখরিত শ্রীমঙ্গলের ‘বাইক্কা বিল’ কয়রা শাকবাড়িয়া খালের উপর সেতু নির্মান কাজ শুরু আশার প্রতিফলন এলাকাবাসীর ফটিকছড়িতে শহীদ জিয়ার নামে টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি নৌকার চেয়ারম্যান! কারণ দর্শানোর নোটিশ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া সনদপত্র থাকার পরেও তাড়াশে হেজুর আলী মিয়ার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি

সাব্বির মির্জা চলনবিল :
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

তিনি দেশ-মাতৃকার মুক্তি সংগ্রামে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এমন মহান কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তার রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া সনদপত্র। ঐ সময় তার ও তার পরিবারের উপকারার্থে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবীল থেকে সংশ্লিষ্ট মহকুমা শাসকের মাধ্যমে ৫০০ টাকার চেক প্রেরণ করা হয়। চেক নং ওসি ২৫৬২১১। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার যুদ্ধ করার অস্ত্রটি নিয়মানুযায়ী জমা দিয়েছেন। সেসব কাগজপত্রও তার রয়ে গেছে। তিনি (হেজুর আলী মিয়া) ২০০৪ সালের নভেম্বর মাসের ১৩ তারিখে বার্ধক্যজনীত কারণে মারা যান। তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ গ্রামের মৃত মেহের আলী প্রামানিকের ছেলে। মৃত হেজুর আলী মিয়ার ছেলে মো. হাইদুর রহমান ওরফে হাদু বলেন, তার পিতার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের সনদপত্রটি পিতা মারা যাওয়ার কয়েক বছর পরে খুঁজে পান। তার পিতার নাম নওগাঁ পলাশডাঙ্গা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভর সংরক্ষিত তালিকায় ১১৪ নম্বরে রয়েছে। তিনি ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে তার পিতার মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্তির জন্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি বরাবর আবেদন করেন। সেই আবেদনটির অনলাইনে আবেদন ব্যতীত নতুন মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রস্তুত করেন মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি। যা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলর মহা পরিচালক বরাবর প্রেরণের জন্য কমিটি কর্তৃক সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। কিন্তু আজও তার পিতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি। তিনি আরো বলেন, তারা সাত ভাইবোন। ইতোমধ্যে তিনজন মারা গেছেন। তার বাবার জীবদ্দশায় মুক্তিযোদ্ধার স্বৃকীতি মেলেনি। এখন সন্তান হিসেবে তার বাবার প্রাপ্য সন্মানটুকো তারা দেখে যেতে চান। এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস, এম, আঃ রাজ্জাক বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন রনাঙ্গনে ও পলাশডাঙ্গা যুব শিবিরে হেজুর আলী মিয়া ও তিনি এক সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ সোবাহান প্রামানিক বলেন, হেজুর আলী মিয়া সিরাজগঞ্জ জেলার পলাশ ডাঙ্গা যুব শিবির কর্তৃক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার সেসব সনদপত্রও রয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান খান বলেন, যাচাই-বাছাই করে নতুন মুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভূক্তির জন্য একজনের (হেজুর আলী মিয়া) তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়। সেসময় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও ৬৪ সিরাজগঞ্জ-৩ (তাড়াশ-রায়গঞ্জ-সলংগা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ম. ম. আমজাদ হোসেন মিলন জীবিত ছিলেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com