বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
সদরপুরে তিল চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এ সোহাগ মার্জিত স্বভাবের কারণে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম উদ্বোধন ফরিদপুরে স্থায়ী প্রশস্ত ব্রিজের দাবীতে মানববন্ধন রামগতিতে হরিনাম মহাযজ্ঞে সরকারি কর্মকর্তা-জনপ্রতিনিধিদের মিলনমেলা কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী অবস্থান প্রেমের ফাঁদে ফেলে জোরপূর্বক অন্তরঙ্গ ছবি তুলে ভাইরাল করানোর ভয় দেখিয়ে টাকা নিতো মেঘলা শিশুদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা শীর্ষক সভা শ্রীমঙ্গলে আগাম জাতের আনারসের বাম্পার ফলন, ন্যায্য দাম পেয়ে খুশি চাষিরা ধনবাড়ীতে ৬ ওষুধ ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

প্রবাস জীবন ছেড়ে ‘রক মেলন’ চাষে সফল 

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১

ফেনীর পরশুরামে সৌদি আরবসহ মরু অঞ্চলের দেশগুলোর জনপ্রিয় ফল রক মেলন চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন প্রবাসী শেখ আহম্মদ। বিদেশি এই ফল বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন তিনি। এ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন প্রায় ২ লাখ টাকার রক মেলন। পাশাপাশি চাষ করেছেন বারোমাসি তরমুজ। সাধারণ তরমুজের চেয়ে বেশ মিষ্টি বারোমাসি তরমুজ।
উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের উত্তর কাউতলী গ্রামের প্রবাসী শেখ আহম্মদ। ২০০৭ সালে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে শুরু করেন কৃষিকাজ। চলতি বছর বাড়ির পাশে দুই বিঘা জমি লিজ নেন। চট্টগ্রামের লালদিঘীর পাড়ে বীজ দোকান থেকে বীজ এনে নিজস্ব প্রযুক্তিতে চাষাবাদ শুরু করেন তিন রকমের রক মেলন।
শেখ আহম্মদ বলেন, তার ২ বিঘা জমিতে প্রায় ৩ হাজার রক মেলন হয়েছে। প্রতিটি প্রায় দুই থেকে তিন কেজি ওজনের হয়েছে। মার্চ মাসের শেষের দিকে তিনি বীজতলায় এর চারা রোপণ করেছিলেন। ৭০ দিনের মাথায় ফল উঠতে শুরু করেছে। জমি লিজ নেয়া ও চাষসহ খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ টাকা।
তিনি বলেন, কোন সময়ে বীজবপন,সার ও কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে সঠিক জানা নেই। যার কারণে কয়েক লাখ টাকার ফল নষ্ট হয়ে গেছে। আগামী বছর কৃষি বিভাগের সহায়তা পেলে ২ বিঘা থেকে অন্তত ৫ লাখ টাকার রক মেলন বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ আহম্মদ।
লতানো গাছের মতো বাঁশের কাঠিতে বেয়ে উঠে এ গাছ। তবে শেখ আহম্মদ তরমুজের মতো মাটিতেই ফলিয়েছেন এ ফল। রক মেলনের একটি হচ্ছে হলুদ মসৃণ খোসা,আর অন্যটির খোসার অংশ খসখসে। স্বাদও কিছুটা ভিন্ন। রক মেলনের পাশাপাশি ফলিয়েছেন ছোট্ট আকারের বারোমাসি মিষ্টি তরমুজ। এটির চাষও এ অঞ্চলে প্রথম। পরশুরাম বাজারের ফল ব্যবসায়ী মো. মাসুদের কাছে কেজি ১৫০ টাকা করে পাইকারি দরে বিক্রি করেছেন রক মেলন। তরমুজ বিক্রি করছেন কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। এ পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ টাকার রক মেলন ও বারোমাসি তরমুজ বিক্রি করেছেন। ফল ব্যবসায়ী মো. মাসুদ জানান, অচেনা ফল। ফলটির প্রতি মানুষের আকর্ষণ রয়েছে। দোকানে তোলার সাথেই বিক্রি হয়ে যায়।
ক্রেতা মো. ইব্রাহীম জানান,পাকা রক মেলনের স্বাদ অত্যন্ত মিষ্টি। ভেতরের রঙ পাকা পেঁপের মতো। অন্যটি হালকা সবুজ ও সাদা। ভিন্নরকম এ ফল খেতেও ভিন্ন স্বাদ। কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, দোআঁশ মাটি এ ফল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। যেখানে ওয়াটার মেলন চাষ করা হয়েছে সেটি উঁচু অঞ্চল। দোআঁশ মাটি সমৃদ্ধ। ক্যালসিয়াম, আয়রণসমৃদ্ধ এ ফল মানবদেহ শীতল রাখতে সাহায্য করে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো কামরুজ্জামান জানান, সাধারণ তরমুজের চেয়ে এর স্বাদ অনেক ভালো, মিষ্টিও বেশি।এটি একটি লাভজনক ফসল। এই ফলের চাষাবাদ বৃদ্ধিতে কৃষককে সহযোগিতা করবে কৃষিবিভাগ।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com