শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

করোনাকালেও চলছে পাঠশালা

আপেল মাহমুদ রুহিয় (ঠাকুরগাঁও) :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২০ জুন, ২০২১

ঠাকুরগাঁও সদরের রুহিয়া মধুপুর গ্রামে তাবু খাটানো যাযাবর দলের মানুষদের ঝড় বৃষ্টি নিয়ে মাথা ব্যথা না থাকলেও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আছে উদ্বেগ। তাইতো বেঞ্চ চেয়ার টেবিল ছাড়াই খোলা আকাশের নিচেই চলে তাদের পাঠদান। সারা বছরই দলবেঁধে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়ান যাযাবরেরা। সুবিধামতো জায়গা পেলে পলিথিনের তাবু খাটিয়ে থেকে যান কিছুদিনের জন্য, ভাসমান এই মানুষদের যেমন নেই কোন ঠিকানা তেমনি হয়নি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে পড়ার সুযোগ। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়ানো মানুষ গুলো এমন জীবন যাপনে অভ্যস্ত হলেও স্বপ্ন দেখেন পরিবর্তন আসবে সন্তানের জীবনে। পাঠাগারের একজন শিক্ষার্থীর মা লাকি আক্তার বলেন, আমি পড়ালেখার সুযোগ পাই নাই, আমার মেয়ে পড়ালেখা করতেছে এতে ভালো লাগতেছে। বেদে দলটির ইমাম আব্দুর রব জানান, আমরাতো বেদে সম্প্রদায় লোক, আমাদের মাঠে ঘাটে পরে থাকতে হয়। কেন না আমাদের জীবন যেভাবে নষ্ট হয়েছে এটাতো হয়েই গেছে। আমরা তো চাইনা যে আমাদের বাচ্চাদের জীবন এভাবে নষ্ট হোক। তবে আমরা আমাদের বাচ্চাদের জন্য পড়ার একটা ব্যবস্থা করছি। আপেল মাহমুদ স্থানীয় এক শিক্ষানুরাগী গিয়েছেন তাদের পাঠদান দেখতে, তিনি বলেন, বেদে সম্প্রদায় একটি যাযাবর জনগোষ্ঠী। দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে তারা অস্থায়ী ভাবে বসবাস করে। সে কারনে তাদের বাচ্চাদের পড়াশোনার সুযোগ থাকেনা। আজকে তাদের এই পড়াশোনার ব্যবস্থা দেখে আমি অনেক আনন্দিত। শত প্রতিকূলতার মাঝেও অক্ষর জ্ঞানহীন থাকছেনা যাযাবর দলের শিশুরা। ভোরের আলো ফুটতেনা ফুটতেই বই খাতা হাতে তাবু ছেড়ে পাঠশালার পাটিতে বসে পরে শিশুরা। চোখেমুখে উপচে পরে উচ্ছ্বাস আর জানার আগ্রহ। অনেক নেই এর মাঝেও ব্যতিক্রম এই পাঠশালায় আছে উদ্যমী শিক্ষক আর উচ্ছাসি একদল শিক্ষার্থী। পাঠশালার শিক্ষার্থী পুতল জানায়, আমাদের পাঠশালায় অনেক কিছু শিখেছি অ, আ শিখেছি ছড়াও শিখেছি। পাঠশালার শিক্ষক নুরুল ইসলাম বলছেন, আমরা বেদে বহর নিয়ে যেখানেই যাই প্রতিদিন কাজের ফাঁকে যে সময় পাই ওই সময় থেকে এক দেড় ঘন্টা বাচ্চাদের লেখাপড়া শিখাই। এই ভ্রাম্যমান পাঠশালা, যেন যাযাবরদের গন্তব্যহীন যাত্রা সাথী। বেদে দলটির সর্দার নবীর উদ্দিন বলেন, অক্ষর জ্ঞানহীন মানুষ পৃথিবীতে অচল। তাই বাচ্চাদের এতটুকু শিখিয়ে দিতে পারলেই তারা চলে ফিরে খেতে পারবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com