প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে অভিনব কায়দায় জুতার ভিতরে ইয়াবা সেলাই করে কক্সবাজার উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল সাবিকুন্নাহার(৩২) ও রশিদা খাতুন(৪৮) নামের দুই রোহিঙ্গা শরনার্থী নারী। ২৩ জুন বুধবার সন্ধ্যায় পৌরসদর বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের ২ জনকে ২ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে সীতাকু- মডেল থানা পুলিশ। একইসাথে সাবিকুন্নাহারের সাথে থাকা তার শিশু সন্তান নুরুল আবসার(৮)কে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আটক আসামী সাবিকুন্নাহার কক্সবাজার জেলার কতুপালং উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোঃ রফিক ও রশিদা খাতুন সোনা আলীর স্ত্রী। তারা উভয়ই উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শরনার্থী। সীতাকু- মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৩ জুন বুধবার সন্ধ্যায় সীতাকু- পৌরসদর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এসআই আশরাফ সিদ্দিকের নেতৃত্বে অপেক্ষারত ছিলেন সীতাকু- মডেল থানার একটি বিশেষ টীম। এসময় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে দুজন নারী নেমে রাস্তা অতিক্রম করলে তাদের গতিবিধিকে সন্দেহ করে।পরে তাদের দেহ তল্লাশী করে কিছু না পেলে দুজনের পায়ে একই কোম্পানির জুতা দেখে পুনরায় তল্লাশী চালায় পুলিশ। এসময় উভয় নারীর জুতা জোড়ার প্রতিটি জুতা থেকে ৫০০ পিস করে ১ হাজার পিস এবং অপর জনের জুতা থেকে একই কায়দায় রাখা ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ মোট ২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। সীতাকু- মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, সুকৌশলে ২ জন নারী পায়ের জুতায় ইয়াবা সেলাই করে ঢাকায় বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করছিল। আমাদের টীম ২ হাজার পিস ইয়াবা সহ তাদের আটক করেছে। তারা উভয়ই উখিয়া থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরনার্থী বলে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিদেশী নাগরিক সম্পর্কিত আইনের ১৪ ধারা মোতাবেক ৩৬(১) এর (১০) ক এবং ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রজু করা হয়েছে।