পুলতো নয়, এ যেন মরণ ফাঁদ! এটি পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভাঙা পুলের কারণে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। এতে দু’পাড়ের বাসিন্দাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এ পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়েছেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বাবুগঞ্জ এলাকার সাধারন মানুষ। পুলটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি। স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, উপজেলার বাবুগঞ্জ বাজার সংলগ্ন চিত্রা নদীতে নির্মিত কাঠের পুলটি দীর্ঘদিন ধরে পারাপারে অনুপয়োগী হয়ে পড়েছে। পুলটির কাঠের পাটাতন ও কাঠামো ভেঙে যাওয়ায় মালামাল ও লোকজন পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাবুগঞ্জ বাজারে কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল হাটে বিকি-কিনির জন্য এই কাঠের পুলটি একমাত্র ভরসা। সেটি ভেঙে যাওয়ায় আশপাশের শান্তিপুর, পাঙ্গাশিয়া, বোয়ালিয়া, খলিশাখালী, শৈলদাহ, বাবুগঞ্জ, ডাকাতিয়াসহ আশপাশের ৮ থেকে ১০ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা হুমায়ুন হাওলাদার ডাঃ অমিত রায়, ইলিয়াচ শেখসহ অনেকে হতাশা ব্যক্ত করে জানান, পুলটি ভেঙে যাওয়ায় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এ পুলটি পার হয়ে বাবুগঞ্জ বাজার ও আশপাশের নানা এলাকা হতে কয়েক হাজার লোক যাতায়েত করে। এটি পার হতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। এ পুল থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন। এটির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া নেই। দ্রুত এটি মেরামতের দাবি জানান তারা। এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল জানান, পুলটি কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে কিন্তু ভারী যানবাহন চলার কারণে এটি ভেঙে গেছে। ওই স্থানে কালভার্ট নির্মাণের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ এলে কাজ শুরু করা হবে।