চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা থেকে এক বছরে চার ইউএনও বিদায় নিয়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় গ্রামগঞ্জ সহ হাটবাজারে, চায়ের দোকানে গুরুত্বসহকারে আলোচনার ঝড় উঠেছে। তাতে মাথাব্যথা নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ। বেসামাল হয়ে যেতে পারে দেশের জনসাধারণের কাক্সিক্ষত উন্নয়নের গতি। সূত্র মতে, সাতকানিয়া ১৭ ইউনিয়ন ও লোহাগাড়ার ৯ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এক সংসদ আসন চট্টগ্রাম-১৫। এখানে মেরুকরণে যোগ হয় পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ। এখানকার প্রচলিত রাজনীতিতে বিরাজমান অতিক্রম থাকলেও সারা দেশে ব্যবসায়ী খাত হিসেবে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে দেশের মানুষ। এই উপজেলায় স্বল্প সময়ে ৪ ইউএনও’র নানান তর্কে জড়িয়ে বিদায়ের ঘটনাবলি এলাকায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। গ্রুপভিত্তিক রাজনীতিতে তেলেছমাতি ও জেদের মন-মানসিকতার ব্যক্তিকে দায়ী করছেন অনেক সুশীল ব্যক্তিবর্গ। দেশের স্বচ্ছ রাজনীতিতে রাক্ষুসে ভক্ষণ পরিবেশ সৃষ্টি হলে দেশ ও জাতির অভিশাপে পরিণত করতে সহায়ক হতে পারে। আবার নির্বাহী কর্মকর্তার এমন রসাতল কর্মকান্ড আগামী প্রজন্মের জন্য অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়াতে পারে। একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেশের নির্দিষ্ট সীমারেখার অভিভাবক কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বহন করে, তা না জেনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খায়েশপন্থা রাখতে এসব বিতর্কে জড়িয়েছেন তারা। পর্যবেক্ষণ মতে, ১৪ ডিসেম্বর ইউএনও মোবারক হোসেন শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে শহীদ মিনারে জুতা পায়ে উঠে বিতর্কের মুখে পড়েন এবং পরের মাসে ১৪ জানুয়ারি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা প্রণব ধরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান না দিয়ে পুনরায় তোপের মুখে পড়ে ২৬ জানুয়ারি তাকে সাতকানিয়া ত্যাগ করতে হয়। একই দিনে দায়িত্ব গ্রহণ করে নোয়াখালির হাতিয়া থেকে আগত নূর-এ আলম। তিনি উপজেলা মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্যকে যথাযথ মর্যাদা না দিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে যান। অবশেষে তাকে ২১ দিনের মাথায় চলে যেতে হয়। এরপর ইউএনও হিসেবে আনা হয় আবদুস সালাম চৌধুরীকে। তিনি তেমন কোন বিতর্ক সৃষ্টি না করলেও আট মাসের মাথায় পদোন্নতি পেয়ে বিজি প্রেসে চলে যান। তার স্থলে হবিগঞ্জ থেকে বৈশাখি বড়–য়াকে পদায়ন করা হলেও বাতিল করা হয় সে আদেশ। বাতিলের ১৫ দিন পরেই যোগদান করেন ইউএনও নজরুল ইসলাম। তিনি চার মাসের ব্যবধানে ডা: ফরহাদ কবির নামের এক চিকিৎসককে ক্ষমতার অপব্যবহারে তর্কে জড়িয়ে বিদায় নিতে হয়েছে।