বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩৮ লাখ। আর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি মানুষের।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ লাখ ২২ হাজার ৯৫৫ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার ৮৫ জনের। আর ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৩ লাখ ২ হাজার ৯৯৮ জন।
করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার দিক দিয়ে শীর্ষ অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে দুই হাজার ৫২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৪ হাজার ৮০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৬৩ হাজার ১৮৩ জন।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ইতালি। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৬৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৫৮ জন।
যুক্তরাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩০ হাজার ৭৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১ হাজার ১০৫ জনে।
ইউরোপের দেশ স্পেনে মৃতের সংখ্যা ২৫ হাজার ৮৫৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আক্রান্ত ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮২ জন। এছাড়াও ফ্রান্সে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৫ হাজার ৮০৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৯১ জন।
ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৬১১ জনে পৌঁছেছে। আর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৫৮৮ জনে।
এদিকে ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ৯৮৭ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটিতে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৮৫ জন।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৭১৯ জনে পৌঁছেছে। আর মৃতের সংখ্যা ১৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিগত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩৮ লাখ। মারা গেছেন দুই লাখ ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে ১৩ লাখ ৩ হাজারেরও বেশি রোগী ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রথম দিকে কয়েকজন করে নতুন আক্রান্ত রোগীর খবর মিললেও এপ্রিলের শুরু থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এ সংখ্যা।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি নানা পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে; যার মূলে রয়েছে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। মানুষকে ঘরে রাখতে রাজপথের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লায় টহল দিচ্ছে সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
এমআর/প্রিন্স