রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন

বায়ো ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতি অনুকরণে করোনা নির্মূল সম্ভব

এম এ মতিন সিলেট :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট, ২০২১

সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দাবী

বায়ো ইজ্ঞিনিয়ারিং পদ্ধতি ব্যবহার করে করোনাসহ নানা রোগ নিমূল করা সম্ভব। ১০ আগস্ট মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ দাবি করেছেন। অমৃত ফাউন্ডেশন সিলেট নামের একটি সংগঠন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে লিখিত বক্তব্যে রাখেন অমৃত ফাউন্ডেশন সিলেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা: মো. ফজলুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই অমৃত ফাউন্ডেশন এই ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য গবেষণা করে আসছে। শুধুমাত্র ভাইরাস জনিত রোগ নয়, সকল প্রকার দৈহিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক ব্যাধির মূলকারণ সুপারন্যাচারাল ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ করে তারা এই সুপারন্যাচারাল ভাইরাস নির্মূলের জন্য কার্যকর প্রতিষেধক উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে চীনের উহান সিটিতে সর্বপ্রথম এই ভাইরাস সনাক্ত হয়, যা আজ সমগ্র পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। ২০২০ সালের ১১ই মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রোগটিকে একটি বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে। ২০২১ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ২শ’২০টিরও অধিক দেশ ও অঞ্চলে প্রায় ২০ কোটি মানুষ এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪২ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। এই ভাইরাসের তান্ডবে সমগ্র পৃথিবীর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আজ স্থবির হয়ে পড়েছে এবং বিশ্বব্যাপী একটি মহাসংকট স্পষ্টতর হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারি সময়কালে মনস্তাত্বিক জটিলতা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ রোগে সংক্রমিত হওয়ার ভয়, কাছের মানুষ বা আপনজনের সংক্রমণের আশঙ্কা, নিজের মৃত্যুশঙ্কা বা জীবিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং আর্থিক সঙ্কটসহ আরও বহুবিধ কারণে মনস্তাত্বিক জটিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগী, ঘরবন্দী থাকা ব্যক্তিরা এবং জরুরি প্রয়োজনে যেসব পেশাজীবী ঘরের বাইরে যাচ্ছেন তারা সবচেয়ে বেশি মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। আতঙ্কগ্রস্ত, হতাশাগস্ত হয়ে বহু আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন বিশ্বে মানসিক সঙ্কট শীর্ষে পৌঁছেছে। ডা: মো. ফজলুল ইসলাম আরো বলেন, দীর্ঘ গবেষণার পর আমরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রাচীন ধর্মগন্থে বর্ণিত অমৃতের সূত্রটি উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হই, যেটি প্রয়োগ করে শুধু বাংলাদেশকেই নয়, সমগ্র পৃথিবীকে একটি স্বর্গরাজ্যে পরিণত করা যায়। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির কারণে উদ্ভুত মনস্তাত্বিক জটিলতা এবং আর্থ-সামাজিক জটিলতা থেকে উদ্ভুত সম্ভাব্য মহাদুর্ভিক্ষ হতে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য আমরা জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকারকে বায়ো ইজ্ঞিনিয়ারিং পদ্ধতি ব্যবহার প্রয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। তবে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ফাউন্ডেশন কর্মকর্তারা তাদের চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে সরকারের অনুমোদন প্রাপ্তি সর্ম্পকে কিছু জানাতে পারেননি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com