পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া পৌর শহরের বহেরাতলা থেকে থানাপাড়া পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কের মাঝে ১০টি বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বার বার বলা সত্ত্বেও খুঁটিগুলো অপসারণ না করায় জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মঠবাড়িয়া পৌর শহরের মধ্য দিয়ে এ ব্যস্ততম সড়ক দিয়ে ঢাকা, বরিশাল, খুলনাসহ ১২টি রুটে প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি চলাচল করে। আঞ্চলিক এ মহা সড়ক টির মাঝে বৈদ্যুতিক খুটি অপসারণ না করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ায় দূর্ঘটণার আশংঙ্কা করছেন বিজ্ঞ মহল। জানাগেছে, পৌর শহরের বহেরাতলা থেকে থানাপাড়া বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ১৬৬০ মিটার ড্রেনসহ আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। এতে ওয়েষ্টার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি লিঃ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি ড্রেনসহ ৩ ইঞ্চি সিসি ও ৯ ইঞ্চি আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ শুরু করেন। চলমান এই সড়কটির বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এনিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নূর হোসাইন মোল্লা বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির মধ্যে খুঁটি রেখে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি অনতিবিলম্বে এই খুঁটিগুলো স্থানান্তর করার দাবি জানান। সম্মিলিত নাগরিক অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব জাহিদ উদ্দিন পলাশ বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগকে বার বার বলেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছেনা। খুঁটি না সরালে যান চলাচলসহ জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাহাবুবুর রহমান জানান, বিদ্যুৎ বিভাগকে খুঁটি সরানোর জন্য লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। তারপরেও তারা অনেক খুঁটি সরাচ্ছেন না। খুঁটি না সরানোর কারণে খুঁটি রেখেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মঠবাড়িয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম নিত্যানন্দ কুন্ডু জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ জায়গা করে দিলে আমরা খুঁটি স্থানান্তর করে দেব।