ঢাকার ধামরাইয়ের শ্রীরামপুর থেকে সূয়াপুর যাওয়ার আঞ্চলিক সড়কের বেহাল অবস্থা। রাস্তাটির সূতিপাড়া এলাকায় বিদ্যুৎ এর পাওয়ার প্লান্ট অফিসের সামনের একটি ছোট ব্রিজের এমন দূরাবস্থার কারণে প্রতিনিয়তই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। স্থানীয়রা মনে করছেন এখনই এই ছোট ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন করে তৈরি করা প্রয়োজন। তা না হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। শুধু মাত্র একটি বট গাছের শিকরের উপর ভর দিয়ে ছোট একটি ব্রিজ দাড়িয়ে রয়েছে। ব্রিজটির এক পাশ ভেঙ্গে নিচু হয়ে গেছে। যে কোন সময় পরে যেতে পারে। এমন অবস্থায় ধামরাই উপজেলা এলজিইডির পক্ষ থেকে ব্রিজটির দু’পাশে ঝুঁকি পূর্ণ ব্রিজ যানবাহন চলাচল বন্ধ বলে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে লক্ষাধিক মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে ওই ভাঙা ব্রিজের উপর দিয়েই। ছোট বড় গাড়ি ঝুঁকি পূর্ণ ব্রিজটির উপর দিয়েই পারাপার হচ্ছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। ব্রিজটি যে কোন মুহূর্তে ভেঙে নদীর উপর পড়ে যেতে পারে। এছাড়াও শ্রীরামপুর থেকে সূয়াপুর পর্যন্ত রাস্তার প্রায় জায়গাতেই রয়েছে খানাখন্দ। প্রায় ৩ মাস ধরে শ্রীরামপুর থেকে সূয়াপুর যাওয়ার পথে শ্রীরামপুর এলাকার এই ব্রিজটি ভেঙে যান চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিদের এ নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই বলে দাবি স্থানীয়দের। পাশ দিয়ে বিকল্প হিসেবে ইট সিলিং রাস্তা থাকলেও তা অনেক আগেই ভেঙে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ভাঙা সড়কে চলাচলকারী এলাকাবাসী মহাদুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। বৃষ্টি হলে রাস্তায় হাঁটা যায় না। একাধিক জায়গায় রয়েছে বড় বড় ফাটল ও গর্ত। ব্রিজটির নিচ দিয়ে লোহার রড বের হয়ে গেছে। ব্রিজের নিচের মাটি পড়ে যাচ্ছে। ব্রিজটির পূর্ব পাশে ভেঙে অনেকটাই নদীতে পড়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ৩ মাস ধরে রাস্তাটি এমন ভাবে ভেঙে পড়ে আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে। কিন্তু হচ্ছে না কোন মেরামতের ব্যবস্থা। একাধিক বার গাড়ি ব্রিজের ভাঙার মধ্যে পরে গেছে। হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে অনেকবার। শ্রীরামপুর এলাকার বাসিন্দা ওবায়দুর রহমান আলাল বলেন, শ্রীরামপুর থেকে সূয়াপুর পর্যন্ত এমনিতেই রাস্তার বেহাল অবস্থা। গত কয়েক মাস ধরে আবার বিদ্যুৎ এর পাওয়ার প্লান্ট অফিসের সামনে ব্রিজের এক পাশ ভেঙে ডেবে (নিচু) গেছে। এখন যানবাহন চলাচল বন্ধের একটি সাইনবোর্ড উপজেলা এলজিইডি অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন যানবাহন চলাচল বন্ধ করেন নি চালকরা। ঝুঁকি নিয়েই তারা রাস্তায় চলাচল করছে। এখনো কোন জনপ্রতিনিধি দেখতেও আসে নি। এখানে বড় দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। সূয়াপুর এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশীদ বলেন, আমি ছোট ট্রাকে করে বাড়িতে একটি ফ্রিজ নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু রাস্তা ভাঙা থাকার কারণে গাড়ি থেকে নেমে যাচ্ছি ভাঙা অংশ পার হইয়ে তার পর আবার গাড়িতে উঠবো। কারণ ব্রিজটির এমন অবস্থা যে কোন সময় একটা দূর্ঘটনা ঘটবে। তিনি আরে বলেন, এই রাস্তাটি ঝুকিপূর্ণ জেনেও যাতায়াত করছি। তাছাড়া প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে আসতে হবে। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের কাছে আবেদন জানান যেন অতি তাড়াতাড়ি রাস্তাটি মেরামত করে জনগণের চলাচলের সু- ব্যবস্থা করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রীরামপুর সিএনজি ষ্ট্রেশন থেকে সূয়াপুর পর্যন্ত আঞ্চলিক রাস্তার বিভিন্ন জাগায় পিচ উঠে গেছে। এর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় ছোটবড় হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে এসব গর্তে জমে থাকা পানি দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর এই ভাঙা ব্রিজে প্রায় প্রতিদিনই রিকশা-ইজিবাইক উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। রাস্তা হয়ে গেছে বেহাল অবস্থা।তারপরও বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে প্রায় ৩/৪ মাস ধরে সড়কটুকু বেহাল থাকায় জনগণের ভোগান্তি চরম আকারে ধারণ করেছে। সড়কের বিভিন্ন জাগায় তৈরি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। পিচ উঠে গিয়ে এটি মাটির রাস্তায় পরিণত হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই জমে হাঁটু পানি।পাকা রাস্তার বেহাল অবস্থা। রাস্তা দিয়ে বড় বড় মাটি, ইট বহনের ড্রাম ট্রাক চলাচল করে। সবই এখন শুভঙ্করের ফাঁকি। কবে রাস্তা ঠিক হবে তার কোন নিশ্চিয়তা নাই। সূতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা বলেন, এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে আছে এটি পুরান কথা।তারপরও বিষয়টি আমি ১০/১৫ দিন আগে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি।কাজটি ওয়াল্ড ব্যাংকের। ব্রিজটি ভেঙে নতুন করে করা হবে এতটুকুই আমি জানি। এলজিইডি থেকে সাইনবোর্ড দিতে পারে এটা তারা জানে। এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হককে একাধিক বার ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।