রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
বিজয় ছিনিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র চলছে: নজরুল ইসলাম খান পতিত আ’লীগ সরকারের কবল থেকে ভিক্ষুকরাও রেহাই পায় নাই : ডা. শফিকুর রহমান জাতির মুক্তির জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই : তারেক রহমান ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা: সাবেক ডিসি মশিউর সাত দিনের রিমান্ডে ভারতে ‘অবৈধ’ শেখ হাসিনা, এখন কী পদক্ষেপ নেবে ভারত দেশবাসী তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে ফোন নম্বর মুখস্থ থাকাই কাল হলো তোফাজ্জলের? আরও কিছু সংস্কার কমিশন করার পরিকল্পনা আছে : নাহিদ মুসল্লিদের প্রতিরোধের মুখে স্বৈরাচারী হাসিনার নিযুক্ত খতিব রুহুল আমিনের পলায়ন আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া দেশের জন্য অশনিসংকেত: অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

গোপালপুরে নদীতে বিলিন হচ্ছে সড়ক ও আবাদি জমি

সেলিম হোসেন গোপালপুর (টাঙ্গাইল) :
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১

ভাঙ্গনরোধে ব্যবস্থা না নেয়ায় টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নদীর পেটে যাচ্ছে সড়ক ও আবাদি জমি। উপজেলার পাথালিয়া –কড়িয়াটা থেকে দক্ষিণ চাতুটিয়া সড়কের এক কিলোমিটার সড়ক গত চার বছরে বিলীন হলেও সংস্কারের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে, মানুষের যাতায়াত ও পণ্য পরিবহনে নিদারুন ভোগান্তি হচ্ছে। ঝিনাই নদীর কোল ঘেষা এ সড়কে হাদিরা, নগদাশিমলা ও ঝাওয়াইল ইউনিয়নের বিশ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এলাকার কৃষিপণ্য হাটবাজারে নেয়ার সহজ রাস্তাও এটি। দক্ষিণ চাতুটিয়া মজিবর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর পাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝাওয়াইল মহারাণী হেমন্তকুমারী হাইস্কুল এবং ঝাওয়াইল সুরেন্দ্রবালা গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা এ পথেই যাতায়াত করে। এলাকাবাসিরা জানান, চার বছর ধরে প্রতি বর্ষায় ঝিনাই নদীর ভাঙ্গনে সড়কের প্রায় এক কি.মি নদীগর্ভে নিমজ্জিত হয়। সেটি আর মেরামত বা সংস্কার হয়নি। ভাঙ্গন রোধেও নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। ফলে সড়কের পর এখন আবাদী জমি নদীতে বিলীন হচ্ছে। চলতি বর্ষায় নতুন করে বেশকিছু ফসলের জমি নদীতে বিলীনের পথে। চাতুটিয়া সীমান্ত বাজারে সপ্তাহে দু’দিন বড় হাট বসে। সড়ক না থাকায় হাটুরেসহ সকলকে ফসলী জমি, বাড়িঘরের আঙ্গিনা, গ্রামীণ বন বা জঙ্গল পেরিয়ে মেঠোপথে আসা যাওয়া করতে হয়। গৃহস্থেরা অনেক সময় ফসল নষ্টের অজুহাতে পায়ে চলা পথে কাঁটা বিছিয়ে রাখেন। তখন নিদারুণ দুর্ভোগ পোহায় পথচারী ও শিক্ষার্থীরা। স্কুল শিক্ষক রমা নাথ বলেন, ঝিনাই নদীর এই স্থানটি নজীরবিহীন সর্পিল হওয়ায় বিকল্প রাস্তা পেরোতে তিনচার কি.মি বাড়তি পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হয়। এলাকার অধিকাংশ মানুষ কামার, কুমার, নাপিত, মালি, মুচি এবং বিত্তহীন হওয়ায় তাদের কষ্টে কেউ এগিয়ে আসেন না বলেও তার অভিযোগ। হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদের তালুকদার এলাকাবাসির দুর্ভোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক জানান, দুর্ভোগের খবর তিনি শুনেছেন। শীঘ্রই তিনি স্থানটি পরিদর্শনে যাবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com