নওগাঁর ধামইরহাটে ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার পুলিশ হবে জনতার’ এমন লক্ষ্য নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পুলিশি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পুরোদমে চলছে বিট পুলিশিং কার্যক্রম। মহামারি করোনা ভাইরাসে কিছুটা থমকে গেলেও মানুষের কাছে পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে নিরলস পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছে ধামইরহাট থানা বিট পুলিশ সদস্যরা। জানা গেছে, উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে ০৮টি এবং পৌরসভায় ৩টি মিলে মোট ১১টি বিট পুলিশিং কার্যক্রম স্থাপন করা হয়েছে। এসব সেবা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে যাতে করে পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মাঝে সেতুবন্ধন সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে জনগণের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেয়া যায় পুলিশি সেবা। এতে করে সাধারণ মানুষেরা খুব সহজে তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারছেন। যার ফলে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন সহ নানান রকম অপকর্ম থেকে রক্ষা পাচ্ছে দেশ ও সমাজ। পুলিশের এমন দৃষ্টিনন্দিত কাজ সমাজ থেকে বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে বলেও আশা করছেন এলাকার সচেতন মহল। এসকল বিট কেন্দ্রগুলোতে সপ্তাহে একদিন করে মানুষকে পুলিশি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে একজন এসআই এবং একজন এএসআই ও তার পাশাপাশি ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা সেবা প্রদানের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এবিষয়ে আড়ানগর ইউনিয়ন বিট অফিসার এসআই মো. হারুন আল রশিদ জানান, ইউনিয়নের সাধারণ মানুষদের মাঝে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এমন মানুষ রয়েছে যারা সাধারণত থানায় যেতে ভয় পান। আবার অনেকে দূরত্ব মনে করে থানায় যেতে পারেনা, তাদের দিক থেকে বিট পুলিশিং সেবা ইতিমধ্যে ইতিবাচক সাফল্য বয়ে এনেছে। ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল মমিন জানান, আমরা এলাকার মানুষকে বিট পুলিশিং সেবার আওতায় আনার লক্ষ্যে সপ্তাহে একদিনের পাশাপাশি অন্যদিন গুলোতেও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।