বিসিকের ব্যাখ্যা চায় পরিবেশ অধিদপ্তর
পরিবেশ দূষণের কারণে সাভারের চামড়া শিল্প নগরী বন্ধ করে দেয়ার সুপারিশ করেছিল পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। সে অনুযায়ী এ নগরী ‘কেন বন্ধ বন্ধ করা হবে না’ তা জানতে চেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক)চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।
গতকাল শনিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়, সংসদীয় কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু করেছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিসিক চেয়ারম্যানকে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে। এর আগে গত ২৩ আগস্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে না হওয়ায় সাভারের চামড়া শিল্প নগরী আপাতত বন্ধ রাখার সুপারিশ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।সেসময় কমিটি এটাও বলে যে,পরিবেশ দূষণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার পর শিল্প নগরীটি আবার চালু করা যাবে।
সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে দৈনিক ৪০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য উৎপাদন হয়। অথচ এ নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা মাত্র ২৫ হাজার ঘনমিটার। সে হিসেবে রোজ ১৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিবেশে মিশছে। প্রতিষ্ঠান পর থেকে গত তিন বছরে অন্তত এক কোটি ৬৪ লাখ ঘনমিটার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বাইরে থেকে গেছে। আর এসব বর্জ্য আশপাশের মাটি, পানি ও বাতাসকে দূষিত করেছে।
উল্লেখ্য,২০০৩ সালে সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্প নগরী গড়ে তোলার কাজে হাত দেয় বিসিক। হাজারীবাগের ট্যানারি মালিকদের অনীহা সত্ত্বেও ২০১৭ সালের এপ্রিলে আদালতের নির্দেশে তারা সাভারে যেতে বাধ্য হন।শুরুতে কথা ছিল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ট্যানারিগুলো নিজস্ব বর্জ্য পরিশোধনাগার বা ইটিপি স্থাপন করবে। কিন্তু ট্যানারিগুলো তা না করায় শিল্প মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার বাসিইটিপি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে সিইটিপির বিভিন্ন কম্পোনেন্টের কাজ সমাপ্ত হওয়ার আগেই ১৩০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন শুরু করে। ফলে আগে হাজারিবাগের চামড়া শিল্পের বর্জ্য যেমন বুড়িগঙ্গার পানিতে মিশত,সেসব এখন ধলেশ্বরী নদীতে মিশছে।