গত ২৪ ঘন্টার অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বরিশালের গৌরনদী পৌরসভাসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আড়িয়াল খাঁর শাখা পালরদী নদীতে পানি বেড়ে বিভিন্ন খাল ও নদীর দুই তীর উপচে বিভিন্ন এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। এতে এ অঞ্চলের প্রধান কৃষি ফসল পানের বরজে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া রোপা আমন ধানের চারা, মাছের ঘের, সবজি বাগান তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার। গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের কমলাপুর, ভূরঘাটা, বাকাই, মেদাকুল, দোনার কান্দি, মাগুরা মাদারীপুর, বার্থী ইউনিয়নের কটকস্থল, গোরক্ষডোবা, বাউরগাতি, বড়দুলালী, দক্ষিণ মাদ্রা, ধানডোবা ও চাঁদশী ইউনিয়নের চাঁদশী, উত্তর চাঁদশী, দক্ষিণ চাঁদশী, নাঠৈ এলাকার নিম্নাঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া গৌরনদী পৌরসভার সুন্দরদী, টরকীরচর,দক্ষিন বিজয়পুর, টিকাশার বিভিন্ন বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। রোপা আমন ধানের চারা এখন পানিতে তলিয়ে আছে। এ ছাড়া এ অঞ্চলের প্রধান কৃষি ফসল পানের বরজে পানি ঢুকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়া পরিবারগুলো দুর্ভোগে পড়েছে। উপজেলার গোরক্ষডোবা গ্রামের পানচাষি সজিব মাঝি(৩২) বলেন, আমি শনিবার পানের বরজে কাজ করে বাড়িতে চলে আসি। রোববার সকালে গিয়ে দেখি, পানের বরজে উজানের ও বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়েছে। সেচপাম্প দিয়ে বরজ থেকে পানি অপসারণের চেষ্টা করছি। কিন্তু পানির চাপ অনেক বেশি। একইভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কমলাপুর গ্রামের জালাল ব্যাপারী(৩৪), কেতাব আলী সরদার(৪২), বড়দুলালী গ্রামের আবদুর রশিদ হাওলাদারসহ(৩১) অনেকেই। পৌর এলাকার বানীয়াশুরী মহল্লার পলাশ তালুকদার(৩৫)। আমনের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া অনেক মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপিন চন্দ্র বিশ^াস জানান, উপজেলায় বন্যায় পান বরজসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরি ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।