শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫১ পূর্বাহ্ন

সোমেশ্বরী নদীর স্বচ্ছ পানি ও সাদা মাটির পাহাড়

তোবারক হোসেন খোকন দুর্গাপুর (নেত্রকোন) :
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে

প্রকৃতি তার অকৃত্রিম সৌন্দর্য দু’হাত ভরে ছড়িয়ে দিয়েছে পাহাড় ও নদীর নান্দনিক সপ্নিল সৌন্দর্য। পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝিরি-ঝরনাময় সোমেশ্বরী নদীর স্বচ্ছ পানি, সবুজ পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দিয়ে ঘিরে রেখেছে নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী সুসঙ্গ দুর্গাপুর উপজেলা কে। ভ্রমন পিপাসুদের সোমেশ্বরী নদী স্বচ্ছ পানি আর ধু ধু বালুচর যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে। সোমেশ্বরী নদীটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বাগমারা বাজার হয়ে স্থানীয় রানীখং পাহাড়ের পাশ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বর্ষা মৌসুম ছাড়া অন্য কোনো মৌসুমে সোমেশ্বরীতে পানি প্রবাহ থাকে না। এই নদীর পানিতে নেমে পায়ে বালির স্পর্শ যেন অন্যরকম অনুভূতি। নদীতে নৌকার মাঝিকে ২০ টাকা দিয়ে নদীর এপাড়-ওপাড় ঘুরে আসতে পারবেন। শহুরে এলাকায় যাদের একেবারেই ইট পাথরের চার দেয়ালে বড় হওয়া তাদের ভেতরের মানুষটিকে রঙিন করে তুলতে পারে এ নদীর সরল ও তীব্র সৌন্দর্য আর সাদা মাটির পাহাড়ের নীল পানি। আর এসব কিছুই দেখতে পারেন দুর্গাপুর উপজেলার পর্যটন এলাকা বিজয়পুরে। দেশের অন্যান্য পর্যটন এলাকা গুলো থেকে ভ্রমন পিপাসুগন আলাদা মর্যাদা দিয়েছেন এ জনপদকে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশের এ পাহাড়ি অঞ্চল পর্যটকদের কাছে হয়ে ওঠেছে দারুণ আকর্ষণীয়। দুর্গাপুরের ক্রমবর্ধমান পর্যটকদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নতুন নতুন সাদা মাটির পাহাড় ও নীল পানির ক্ষেত্র। আগের তুলনায় রাস্তাঘাট অনেকটা ভালো হওয়ায় বিপুল সম্ভাবনাময় দুর্গাপুরে বেড়ানোর চাহিদা ভ্রমন পিপাসুদের কাছে দিন দিন আকর্ষনীয় হয়ে উঠছে। এছাড়া বিরিশিরি এলাকায় রয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি ও আদিবাসী ঐতিহ্য মন্ডিত যাদুঘর। ঢাকার মহাখালি থেকে বাসযোগে অথবা কমলাপুর রেল ষ্টেশন থেকে ট্রেনে করে আসা যায় নেত্রকোনার দুর্গাপুরে। দুর্গাপুর থেকে স্থানীয় পরিবহন, অটোরিকশা, মাহিন্দ্র, পিকআপ ও মোটরসাইকেলে সড়কযোগে যাওয়া যাবে সাদা মাটির খনি এলাকায়। সেইসাথে অল্প হেটেই যেতে পারবেন সোমেশ্বরী নদীতে। এছাড়া ভবানীপুর গ্রামের উঁচু পাহাড় থেকে গাছ ও লতাপাতা ধরে ভয়কে জয় করে নিচে নামলেই দেখা মিলবে পাহাড়ী ঝরনার। এলাকায় বেড়াতে আসা গাজিপুর এলাকার এক স্কুলশিক্ষক মো. বরকত উল্লাহ বলেন, আগের তুলনায় রাস্তা অনেক ভালো হওয়ায় স্বাচ্ছন্দে বেড়াতে পারলাম। পাহাড়ী ঝরনায় পৌঁছানোর পথ অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হলেও ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। যাদের পাহাড়, নদীর স্বচ্ছ পানি ও ঝরনা ভালো লাগে তারা নিঃসন্দেহে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আসতে পারেন। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব-উল-আহসান যুগান্তর কে বলেন, আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। অত্র এলাকায় বেড়াতে আসা সকল পর্যটকদের দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাই। আগের তুলনায় এলাকার রাস্তাঘাট অনেকটা ভালো থাকায় দুর্গাপুরের কদর বেড়েছে। অত্র এলাকায় কোভিট-১৯ এর প্রাদুর্ভাব কম থাকায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকগন আসতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কোন পর্যটক যেন পর্যটন এলাকায় প্রবেশ করতে না পারেন, সে জন্য বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনকে বিশেষ নজরদারী রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com