বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে মিল্টন খন্দকার নিজের আলাদা অনন্য একটি অবস্থান সৃষ্টি করেছেন একজন গীতিকার ও সুরকার হিসেবে। তার ণেখা ও সুর করা বহু জনপ্রিয় গান রয়েছে যা শ্রোতা দর্শকেরা এখনো মনের অজান্তে গেয়ে উঠেন। আবার কেউ কেউ এখনো বেশ আগ্রহ নিয়ে তার লেখা ও সুর করা গান শুনে থাকেন। মিল্টন খন্দকারের ভাষ্যমতে তার লেখা ও সুর করা গান রয়েছে চার হাজারেরও বেশি।
গুণী এই সুরস্রষ্টা তপন চৌধুরীকে নিয়ে দীর্ঘ পনেরো বছর পর নতুন একটি গান করেছেন। গানের কথা ও সুর যথারীতি মিল্টন খন্দকারের নিজেরই। গানের কথা হলো ‘তোমার চলে যাওয়া দেখেছি, দেখিনিতো ফিরে আসতে’। গানটি মিল্টন খন্দকারের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ‘মিল্টন খন্দকার মিউজিক ফ্যাক্টরী’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। গানটি প্রসঙ্গে কানাডা থেকে মুঠোফোনে তপন চৌধুরী বলেন,‘গানটির কথা এবং সুর আমার কাছে ভীষণ ভালোলেগেছে। যথারীতি এটি একটি দারুণ মেলোডিয়াস গান। আমার কাছে মনে হচ্ছে শ্রোতাদের গানটি মন ছুঁয়ে যাবে। কারণ একজন মিল্টন খন্দকারের কথা ও সুরের আলাদা শ্রোতা দর্শক আছেন যারা তার গানের জন্য অপেক্ষা করেন।’
মিল্টন খন্দকার বলেন,‘তপন চৌধুরী এমন এক সৌভাগ্যবান শিল্পী, একটু বাড়িয়ে বললে তার মাথায় যতো চুল আছে, তার চাইতেও বেশি তার হিট গানের সংখ্যা। আমার সৌভাগ্য হয়েছে এই শিল্পীর নতুন আরেকটি গান করার। ৪০বছর আগেও তিনি যেমন গাইতেন– এখনো তিনি তেমনই গান। আমার নিজেরই কী যে ভালো লাগে আমার তপনদার গান। আমার খুব পছন্দের একজন গায়ক তিনি। এমন গুণী শিল্পীদের আমাদের প্রতিনিয়ত কাজে লাগানো উচিত, শ্রদ্ধা সম্মান জানানো উচিত।’
হাজার হাজার গান লেখা ও সুর করার মধ্য থেকে মিল্টন খন্দকারের নিজের লেখা ও সুর করা প্রিয় গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ডলি সায়ন্তনীর গাওয়া ‘চিন্তার চেয়ে চিতার আগুন ভালো’, হাসান চৌধুরীর গাওয়া ‘খুব কাছাকাছি তুমি আমি আছি’, মনির খানের গাওয়া ‘পুরোনো সেই ব্যথা’ এবং ঝিনুকের গাওয়া ‘আমি যাচ্ছি বাবা’। ঝিনুকের গাওয়া ‘আমি যাচ্ছি বাবা’ গানটি এখনো বিয়ে বাড়িগুলোতে হরহামেশা বেজে উঠে। এদিকে তপন চৌধুরীর গাওয়া প্রকাশিত সর্বশেষ গান হচ্ছে ‘সবই তুমি’। এই গানটি তপন চৌধুরীর নিজের সুর করা গান। লিখেছেন স্থপতি মুস্তাফা খালীদ পলাশ। ‘দু:খিনী মা ও শয়তান জাদুঘর’ সিনেমায় তপন চৌধুরী প্রথম মিল্টন খন্দকারের লেখা ও সুরে গান করেন। সর্বশেষ ১৫ বছর আগে তারা একসঙ্গে কাজ করেন।