পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করেই কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা। ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। সরবরাহে জটিলতা নেই, উৎপাদন মৌসুমও নয় যে ঘাটতি দেখা দেবে। চাহিদাও স্বাভাবিক। তারপরও কেনও বেড়েছে এই নিত্যপণ্যের দামÍ সরকার, ব্যবসায়ী, আমদানিকারক তা কেউই জানেন না। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। একদিন আগে অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবারও তা বিক্রি হয়েছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দরে। এ বিষয় জানতে চাইলে শ্যামবাজারের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোসলেম উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, এখন পেঁয়াজের মৌসুম শেষ। মাস দেড়েক পরেই নতুন পেঁয়াজ উঠবে। এমন কোনও পরিস্থিতি হয়নি যে চাহিদা বেড়েছে। সরবরাহ পরিস্থিতিও ভালো। আমদানিও স্বাভাবিক। এমন সময় দাম বাড়ার কোনও কারণ নেই।
রাজধানীর কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী সেকান্দার আলী জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারেই দাম বেড়েছে। মনপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। তাই আমরাও কেজিতে চার টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছি। এছাড়া আমাদের উপায় কী? তবে খুচরা পর্যায়ে হয়তো ৫ টাকা বেড়েছে। কারণ তারও তো পরিবহন খরচ রয়েছে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানিয়েছেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার মনিটরিং টিম প্রতিনিয়তই বাজারে কাজ করছে। অস্বাভাবিক ভাবে কেউ যদি মনোপলি করে তবে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই সময় পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কোনও কারণ নেই বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য প্রতিবছর দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ লাখ মেট্রিক টন। ২০১৯-২০ অর্থবছর দেশে উৎপাদন হয়েছে ২৫ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদিত পেঁয়াজের ২৫ শতাংশ পচে যায়। তাই প্রকৃত উৎপাদন ১৯ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন। চাহিদার বাকি ঘাটতি মেটাতেই আমদানি করা হয়েছে ৪ লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন।-বাংলাট্রিবিউন