পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে যুব উন্নয়ন সংসদ ঢাকার আয়োজনে গতকাল ২৬ অক্টোবর সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও নর্দান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং যুব উন্নয়ন সংসদের চিফ কো-অর্ডিনেটর মুহাম্মদ কামাল হোসাইনের পরিচালনায় র্যালী পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দেশের প্রবীণ সাংবাদিক দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট ড. মোঃ হেলাল উদ্দিন, বিশিষ্ট আইনজীবী ঢাকা বার এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট কামাল উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সাইফুর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে’র) সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সোহেল রানা মিঠু, মোঃ রেজাউল করিম প্রমুখ যুব নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে সকল প্রকার ভেদাভেদ দূর করতে হবে। নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে হিন্দু মুসলিম জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)। তিনি মানবতার মূর্ত প্রতীক এবং মানবতার কল্যাণেই তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন। প্রত্যেক মানুষকে প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা) এর জীবনী পড়াশোনা করার মাধ্যমে সঠিক ভাবে জানতে হবে। আমাদের বাংলাদেশসহ পৃথিবী আজ যেসব সমস্যায় নিমজ্জিত, তার একমাত্র সমাধান দিতে পারে ইসলাম ও রাসূলের (সা) সিরাত। বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য সবাইকে ইসলাম ও রাসূল সা:-এর সুমহান আদর্শের দিকে ফিরে আসার আহ্বান জানাই।
সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমরা আজ প্রিয় নবী সা. এর জীবনাদর্শ থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি। অথচ তার জীবনেই রয়েছে আমাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ। ফলে আমাদের সবাইকে তার জীবনী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। বিশ্বের নানা প্রান্তে যত হানাহানি যুদ্ধ সংঘাত হচ্ছে তার মূল কারণ হলো ইসলামকে গ্রহণ করতে না পারা। এর ফলে সাধারণ মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় ইসলামী আদর্শের প্রকৃত অনুসরণের মাধ্যমেই কেবল মানুষের কল্যাণ নিহিত। ইসলামী সংস্কৃতির মূল ভিত্তি কুরআন ও সুন্নাহ। যা বাস্তবতা ও মানবিকতার উৎকর্ষতায় উত্তীর্ণ। বিশ্বে একমাত্র সার্বজনীন, বিশুদ্ধ, পরিমার্জিত, পরিশীলিত, রুচি ও মর্যাদাপূর্ণ এবং কল্যাণকর সংস্কৃতি হচ্ছে ইসলামী সংস্কৃতি। ইসলামী সংস্কৃতি মানুষকে ইহজাগতিক সফলতা, শান্তি, মর্যাদা এবং পরোজাগতিক মুক্তির পথকে সুগম করে। আসুন সকলে সেই শান্তির বার্তা প্রচার করি।
এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ স. ছিলেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানব ও বিশ্বনেতা। রাসুলের সিরাতকে অনুসরণ করে তাঁর আদর্শকে বাংলার এই সবুজ ভূখন্ডে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাহলেই বিশ্ব মানবতার মুক্তি আসবে।
এডভোকেট সাইফুর রহমান বলেন, হযরত মুহাম্মদ স. এর জীবনচরিতকে চর্চার মাধ্যমে এবং তাঁর আদর্শকে ব্যক্তিজীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রকৃত মুসলিম হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। মু. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের আদর্শ মহামানব ছিলেন মুহাম্মদ (সা)। তমসাচ্ছন্ন আরবে এক অভাবনীয় বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন তিনি। তাই নিজেদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুল (সা.) আদর্শ অনুসরণ করতে হবে।