ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার থাক খোয়াজের লামছি মৌজায় তিন ফসলি জমি হুকুম দখলের পায়তারা করছে সোনাগাজী সোলার পাওয়ার লিঃ নামে একটি বেসরকারি কোম্পানী । সোলার কোম্পানীর অবৈধ দখলের পায়তারার বিরুদ্ধে মানববন্ধন, মতবিনিময় সভা, স্থানীয় সাংসদ জেনারেল(অবঃ) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও জেলা প্রশাসককে স্বারকলিপি দিয়েছেন ভুমি মালিকগণ। ইতিমধ্যে সাংসদ মাসুদ চৌধুরী ভুমি মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আপত্তি জানিয়েছেন। সম্প্রতি জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান সরেজমিন পরিদর্শন করে ভুমি মালিকসহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছেন । জানা যায়, স্থানীয় সাংসদ ও ভুমি মালিকদের তৎপরতা এবং বাধার মূখে পিছু হটে সোনাগাজী সোলার পাওয়ার লিঃ । কৌশলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভুল বুঝিয়ে প্রকৃত ভুমি মালিকদের ভুমিদস্যু বলে অপপ্রচার শুরু করে সোনাগাজী সোলার পাওয়ার কোম্পানীর কর্মকর্তারা। থাক খোয়াজের লামছি মৌজার একাধিক ভূমি মালিক জানিয়েছেন, সোনাগাজী সোলার পাওয়ার কোম্পানীর লোকজন ভুল বুঝিয়ে এবং মৌজা উল্লেখ না করে একটি বানোয়াট অনাপত্তি পত্রে উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন, সোনাগাজী সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শামসুল আরেফিন ও আমিরাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহিরের স্বাক্ষর নেন। তিন চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত ওই অনাপত্তি পত্র বিভিন্ন দপ্তরের দিয়ে আবারো কৃষি জমি দখলে নেয়ার পায়তারা করছে সোনাগাজী সোলার পাওয়ার লিঃ। এ ব্যপারে সোনাগাজী সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শামসুল আরেফিন বলেন, থাক খোয়াজের লামছি মৌজার যে ১৭৫একর জমি হুকুম দখল করার চেষ্টা করছে সোনাগাজী সোলার পাওয়ার লিঃ , সে মৌজা সম্পুর্ন তিন ফসলি জমি। জেলা প্রশাসক সরজমিন পরিদর্শনকালে ভূমি মালিকদের উপস্থিতিতে আমি বিষয়টি অবহিত করেছি। আমিরাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জহির বলেন , থাক খোয়াজের লামছি মৌজার তিন ফসলি জমি রক্ষায় ভূমি মালিকদের সকল আন্দোলনে আমি সরাসরি ছিলাম এখনো আছি। সোলার কোম্পানীর ওই অনাপত্তি পত্রে কোন মৌজার নাম বা জমির বিবরন ছিলনা। উন্নয়ন আমরা চাই , তবে এসব অপপ্রচারের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। সোনাগাজী সোলার পাওয়ার লিঃ এর প্রকল্প পরিচালক সর্দার আমান উল্যাহ জানান, সরকার সৌর বিদ্যুত প্রকল্পের জন্য সোনাগাজীর থাক খোয়াজের লামছি মৌজায় ১৭৫একর জমি চিহ্নিত করে দিয়েছেন। সরকারের প্রস্তাবনাকে বাধা দিচ্ছে কিছু লোক। যারা বাধা দিচ্ছে তারা প্রকৃত মালিক নয়। এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন একাধিক অনাপত্তি দিয়েছেন। শীঘ্রই নিয়ম অনুযায়ী প্রস্তাবিত ভুমি অধিগ্রহন হবে। থাক খোয়াজের লামছি মৌজা পরিদর্শনকালে ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান ভূমি মালিকদের বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কোন উন্নয়ন প্রকল্পের নামে কৃষি জমি অধিগ্রহন করা হবেনা।