ভালোবাসার মানুষের টানে রাজসম্মানের তোয়াক্কা করলেন না জাপানের রাজকুমারী মাকো। জাপানে রাজতন্ত্রের অবসান ঘটেছে। কিন্তু, আজও রাজপরিবারের ঐতিহ্য বহাল। কোনো সাধারণ ব্যক্তিকে বিয়ে করলে জাপানের রাজপরিবারের মহিলাদের রাজকীয় মর্যাদা ছাড়তে হয়। কিন্তু, রাজকুমারী সব বাধা ভেঙে ছুটে গেছেন নিজের স্বপ্নের রাজকুমারের কাছে। ৬১ বছরের সম্রাট নারুহিতোর ভাইঝি রাজকুমারী মাকো বিয়ে করছেন প্রেমিক কেই কোমুরোকে। সেই জন্য ছেড়েছেন ১.২৩ মিলিয়নের সম্পত্তির মোহও।
জানা গেছে টোকিও ইন্টারন্যাশানাল খ্রিষ্টান ইউনিভার্সিটিতে কোমুরোর সাথে পড়তেন রাজকুমারী মাকো। এরপরেই একে অপরকে ভালোলাগা, ভালোবাসা। ২০১৭ সালেই তারা বিয়ে করতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি। ২০১৮ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য নিউইয়র্কের উদ্দেশে পাড়ি দেন কোমুরো। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে তিনি দেশে ফেরেন এবং মঙ্গলবার তাদের চার হাত এক হয়। তাদের প্রেম কাহিনী জাপানে বহুল চর্চিত বিষয়। দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের শুভ পরিণয়ে খুশি সাধারণ মানুষ। তাদের প্রেম রূপকথার মতো, জানাচ্ছেন অনেকে। এদিকে রাজপরিবারের কোনো কন্যা সাধারণ কাউকে বিয়ে করলে রাজপরিবারের পদবি, মর্যাদা ছাড়ার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ পান। পরিমাণ ১.২৩ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু, মাকো এই অর্থ নিতে অস্বীকার করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম কোনো রাজকন্যা এই অর্থ নিলেন না। কোমুরো রাজকুমারী মাকোর যোগ্য নয়, এমনই দাবি করেছিলেন অনেকে। কিন্তু, সমালোচকদের কোনো আমল না দিয়েই স্বপ্নের পুরুষকে বিয়ে করেন তিনি।
২৬ অক্টোবর সকালে মাকোকে প্যালেসের সামনে নীল রংয়ের একটি পোশাক পরে দেখা যায়। বিয়ের পর মা-বাবা এবং বোনের সাথে দেখা যায় তাকে। এদিন বিকেলেই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন রাজকুমারী। সেখানেই রাজকীয় মর্যাদা ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। তবে সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি। অপ্রীতিকর কোনো প্রশ্ন এড়াতেই এই পদক্ষেপ। বিয়ের পর এই যুগল পাড়ি দিচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে আইনজীবী হিসেবে কাজ করবেন কোমুরো। উল্লেখ্য, বিয়ের মাত্র দুদিন আগে শনিবার নিজের ৩০ তম জন্মদিন পালন করেন মাকো। সূত্র : এই সময়