মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
ভোলার বিভিন্ন চরাঞ্চল অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত লালমোহনে ডা. আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে সংবর্ধনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা সিংড়ায় পরিবেশ রক্ষার্থে ৫৩৬টি ডাস্টবিন বিতরণ কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রদলের ৩১ দফা নিয়ে মতবিনিময় সভা পটুয়াখালীতে শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন টুঙ্গিপাড়ায় ভিক্ষুক ও হতদরিদ্রদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলো সমাজসেবা অফিস জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের আওতায় এনে সহায়ক কর্মচারী অন্তর্ভুক্ত ও বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনের নিমিত্তে দাবি পেশ দাউদকান্দিতে সড়কের মাটি ধসে পড়ল খালে, দুর্ঘটনার আশংকা সীতাকুন্ডে বিতর্কিত মাদ্রাসা পরিচালকের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

আলু মজুত করে লোকসানে চাষিরা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২১

বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী নিত্য পণ্যের বাজারে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে আলুর দাম। রাজশাহীতে চাষিদের প্রত্যাশার সঙ্গে বাড়তি মজুতের মানসিকতায় বাজারে আলুর দাম নিয়ে তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। পরিবেশ ঘোলা করে দাম বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও এবার চোখে পড়েনি। তবে এর বিপরীত চিত্র দেখা গেছে। মজুত বেশি আর সরবরাহ কমে যাওয়ায় দামও কম। এতে অনেক চাষি উৎপাদন খরচও তুলতে পারেননি। এ কারণে আসন্ন মৌসুমে আলুর আবাদ নিয়ে অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে উৎপাদন বেশি হবে বলেই মনে করছে কৃষি বিভাগ।
আলু ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর আলু বিক্রি করে এখন পর্যন্ত হাতেগোনা কিছু ব্যবসায়ী লাভের মুখ দেখেছেন। বাকিরা এখন পর্যন্ত লোকসানের মধ্যে রয়েছেন। আর যে সময় প্রতিকেজি আলু ৯ থেকে ১০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে; সেসময় আলু বিক্রি করে কোল্ড স্টোরেজের খরচও তোলা সম্ভব হয়নি।
ব্যবসায়ীরা আরও বলছেন, রাজশাহীতে অধিকাংশ আলুচাষি অন্যের জমি লিজ নিয়ে আবাদ করেন। যেখানে প্রতিকেজি আলুর উৎপাদন খরচ ১২ থেকে ১৫ টাকা। এরপর ক্লোল্ড স্টোরেজ খরচ প্রতিকেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা। এতে দেখা যাচ্ছে, আলু বিক্রির আগ পর্যন্ত প্রতিকেজির উৎপাদন খরচ ১৭ থেকে ২১ টাকা। অথচ বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) পর্যন্ত কোল্ড স্টোরেজে আলু বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ১৭ টাকা। প্রতিকেজিতে এখনও ২ থেকে ৩ টাকা লোকসান হচ্ছে। তবে দাম কম থাকলেও আলুর উৎপাদন তেমন কমবে না বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
পবা উপজেলার আলুচাষি শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি এ বছর ৭০ বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেছিলেন। যেখানে আড়াই হাজার বস্তার মতো আলু কোল্ড স্টোরেজে রেখেছেন। এর মধ্যে কিছু বিক্রি করেছেন। আর কিছু আছে। এবার আলু বিক্রি করে তার অনেক লোকসান হয়েছে। তবে এবারও তিনি গত বছরের মতোই আলুর আবাদ করবেন। কেননা অন্য কিছু আবাদ করার মতো সুযোগটা কম। সামনের বছর দাম যে এমন থাকবে এমনও তো না।
রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু বাক্কার জানান, বর্তমান বাজারে আলু ২২ থেকে ২৪ টাকা কেজি বিক্রি হলেও পাইকারি দাম এতো না। পাইকারিতে এখন ১৭ থেকে ১৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু উৎপাদন খরচ বিক্রি মূল্যের চেয়ে বেশি। এ কারণে চাষিরা লোকসানের মধ্যে পড়েছেন। তিনি আরও জানান, এক-দেড় মাসের মধ্যে আলু লাগানো প্রায় শেষ হয়ে যাবে। এখনও আলুর প্রায় ৪০ শতাংশ মজুত আছে। এর প্রায় ২০ শতাংশ বীজের আলু। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে আলু উঠতে শুরু করবে। ফলে এ বছর আলুর দাম আর বাড়বে না। তবে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এটা সত্য। রাজশাহী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, রাজশাহীতে গত বছর প্রায় ৩৬ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল। যেখানে প্রতি হেক্টরে ২৬ দশমিক ৬ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছিল। অর্থাৎ মোট ৯ লাখ ৭৬ হাজার মেট্রিক টন আলু রাজশাহীতে উৎপাদন হয়েছিল। এবারও আলুর আবাদ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা এটিই ধরা হয়েছে। রাজশাহীতে ৩৬টি আলু সংরক্ষণাগার রয়েছে। যেখানে ধারণক্ষমতা ৫ লাখ মেট্রিক টন। এ বিষয়ে রাজশাহী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কেজেএম আব্দুল আউয়াল বলেন, রাজশাহীতে এবারও আলু উৎপাদনে যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, তা পূরণ হবে। কারণ এবার আলুর দাম মাঝে কিছুটা কম ছিল। সেসময় হয়তো চাষিরা লোকসান গুনেছেন। তবে এখন দাম আগের চেয়ে বেশি। বাজারে উৎপাদন ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য আছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com